এক্সক্লসিভ ডেস্ক: ক্রিকেট মাঠে বল হাতে তিনি ভয়ঙ্কর। এক ভেল্কিতেই তিন-তিনটে স্টাম্প মাটি থেকে উপড়ে ফেলতে পারেন। বিশ্বের সেরা লেগ-স্পিনারের ট্যাগটা আজও তাঁর দখলে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কব্জির মোচড়ে বছর ছ’ আগেও আইপিএল দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কথা হচ্ছে ‘স্পিন কিং’ শেন কিথ ওয়ার্নকে নিয়ে।
মাঠের ভিতরে যেমন আগ্রাসন মাঠের বাইরে তেমন এক বর্ণময় চরিত্র। শুধু বাইশ গজেই নয়, প্রেমবাজারেও সেরা পুরুষ হিসেবে প্রশংনীয়। প্রেমের মাঠেও ছক্কা হাঁকাতে মাহির স্পিন পন্ডিত। ক্রিকেট মাঠে সেলফির আবদার, সবতেই ওস্তাদ ওয়ার্ন। তাইতো প্রেমিক ওয়ার্ন আজও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলতে পারেন তাঁর ‘ফ্ল্যামবয়েন্ট অ্যাডিটিউ’-৪৮ বছর বয়সেও প্রেমবাজারে সেরা পুরুষ শেন ওয়ার্ন- আজও মেয়েরা পাগল তার জন্য।
এসবের মাঝে ওয়ার্নের বয়সটা ভুললে চলবে না! সামনের মাসের ১৩ তারিখেই ৪৮-এ পা-রাখবেন ওয়ার্নি। বুড়ো বলে ভুল করবেন না। এমন মেজাজ তো রাজাদেরই মানায়, তিনি যে স্পিনের রাজা। তাঁর চুম্বন নাকি ফ্লিপারের মতোই মারাত্মক!
সালটা ২০০০৷ ওয়ার্নের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, তিনি নাকি এক ব্রিটিশ নার্সকে ফোন করে ব্রিবত করছেন৷ এখনও অবাক হওয়ার বাকি আছে৷ একাধিকবার ফোন ও ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে ওয়ার্নি নাকি তাঁর সঙ্গে আমন্ত্রণ জানান৷ তৎকালীন অজি সহঅধিনায়ক সে সময় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ৷ বিবাহের বাইরে একটু দুষ্টুমি করতে কে না চায় বলুন৷ আর তারকার নাম যদি হয় ওয়ার্ন! তাহলে তো কথাই নেই৷ সাত খুন মাফ!
খবরের কাগজে ওয়ার্নকে ভিলেন বানিয়ে সে সময় শিরোনামের ঝড় তোলে৷ তবে এসবকে একটুকুও পাত্তা না-দিয়ে ওয়ার্ন আজও স্বমহিমায় বিরাজমান৷ মেজাজ আজও এতটুকু পাল্টায়নি৷ ওয়ার্নের যে একটাই মূলমন্ত্র, ‘মেজাজটাই তো আসল রাজা!’
সাল ২০০৬৷ তখন ওয়ার্নকে অনেকেই ‘সেক্স ম্যাড শেন’ বলে ডাকতেন৷ কেন এই নাম? উত্তরটা জলের মতো পরিষ্কার৷ বাইশ গজের মতো বিছানাতেও অনায়াসে প্রতিপক্ষকে বোল্ড করে দিতে পারেন এই লেগ-স্পিনার৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সঙ্গীনির সঙ্গে নিজের সেরাটা দিতে পারতেন ওয়ার্ন৷ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে এমন গরম গরম নিউজ না-কি হট কেকের মতো বিকোতো!
দুই ব্রিটিশ মডেলের সঙ্গে ত্রিসামে মজলেন ক্যারিসম্যাটিক ওয়ার্ন৷ মুহূর্তেই সে ছবি ভাইরাল৷ পজিসনে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত মুহূর্তের সেই ছবি ওয়ার্নের জীবনের সেরা ‘কীর্তি’৷ সেদিন শেনের সঙ্গে মিলনের পর মডেল কোরালিয়ে নাকি বলেছিলেন, ‘বিছানায় ওয়ার্নের মতো ফিট পুরুষ আগে দেখিনি৷ ওকে তাই ফুলমাকর্স দেব৷’ এমন পুরুষের মোহে তখন সবাই বোল্ড আউট৷
অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্লের সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্কের পর ওয়ার্ন নাকি একবার বলেছিলেন, ‘রিলেশনশিপস আর ভেরি হার্ড ইন লাইফ৷’ এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন বলেছেন ,‘জীবনে আমি অনেক ভুল করেছি৷’ সত্যিই কত না বিচিত্র ওয়ার্ন! তাঁর প্রতিটা ডেলিভারির মতোই তাঁর মেজাজ, চরিত্র আজও বুঝে ওঠা যান না৷
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস