রবিবার, ০৬ আগস্ট, ২০১৭, ১০:৩৬:৫৩

সুন্দরী নারীদের দিয়ে ভারতীয় সেনাদের ফাঁসাচ্ছে চীন-পাকিস্তান

সুন্দরী নারীদের দিয়ে ভারতীয় সেনাদের ফাঁসাচ্ছে চীন-পাকিস্তান

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাদানুবাদ প্রায় লেগেই আছে। এ নিয়ে সীমান্তে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দোকলাম নিয়ে চীনের সঙ্গেও সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। তারমধ্য বেরিয়ে এলে আরোও বড় এক গোয়েন্দা রিপোর্ট।

এরই মধ্য ভারতের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রলুব্ধ করে তথ্য হাতিয়ে নিতে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করছে পাকিস্তান ও চীন। সেনাদের ফোন ট্র্যাক হচ্ছে এবং ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও। এ ধরনের প্রচেষ্টাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সেনা কর্মকর্তাদের সতর্ক দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান ও চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রলুব্ধ করার প্রচেষ্টা করছে। এই নারীরা সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে তাদের কাছ থেকে নানান তথ্য হাতিয়ে নেন। পুরুষ সদস্যরা যেন নারীদের দারা প্ররোচিত না হন, সে জন্যই এ সতর্কতা।

গোয়েন্দাদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেছে, শত্রুদের এ ধরনের প্রচেষ্টাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য সেনাদের প্রতি একটি বার্তা দিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। গোয়েন্দারা বলছেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য ফাঁদে ফেলতে সুন্দরী পাকিস্তানি নারী; চীনা নাগরিক কিন্তু উর্দুতে কথা বলার ক্ষেত্রে সাবলীল, ইংরেজিতে অভ্যস্ত নারীদের ভালোভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে : ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের ফোনও ট্র্যাক করছে চীন। গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যাসও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে। চীনে তৈরি স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে সেনা কর্মকর্তারা তাদের রাডারের অধীনে আছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে ভারতীয় সেনারা খোলামেলা সাইটগুলোতে ঢুঁ মারেন এবং নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চান, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণ করছে ওই দুই দেশ।

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার : পাকিস্তান ও চীনের ওই নারীরা প্রথমে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকে বাছাই করেন। এরপরেই উর্দুভাষী পাকিস্তানি এবং ইংরেজিভাষী চীনা ওই নারীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। নারীরা উর্দু শায়ের হিন্দির মতো করে বলে সেনাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন।

এরপরই ফোনের নানান চটুল ও মিষ্টি মিষ্টি কথাবার্তার পর কফি শপ, রেস্তোরাঁ বা শপিং মলের দেখা করেন। দেখার করার প্রথম দিনেই ওই নারীরা সেনা অফিসারদের শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এ সময় নারীরা সেনাদের কাছে প্রকাশ করেন যে তারা ধনী, একা এবং সংসারজীবনে অসন্তুষ্ট বা অতৃপ্ত গৃহিণী। তারা কয়েক দিনের এমন প্রবণতা গোপনে ভিডিও করেন।

এরপরই ওই নারীরা সেনাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। আর যা কিছু করেন সব ভিডিও টেপে রেকর্ড করেন। কারণ, সময়মতো এগুলো ব্যবহার করে সেনা অফিসারদের বাগে এনে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। আর তথ্য দিতে অস্বীকার করলে ব্যবহার করেন ওই ভিডিওগুলো।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে