রবিবার, ০৬ আগস্ট, ২০১৭, ১১:০৪:৫০

এই মারণ রোগের শিকার আপনি নন তো?

এই মারণ রোগের শিকার আপনি নন তো?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে, জীবনে ব্যস্ততা জাঁকিয়ে বসছে। আর তার সঙ্গে কমছে নিজের জন্য সময়। সকালে উঠে অফিস যাওয়া আর রাতে বাড়ি ফিরে ঘুম। এই একঘেয়ে জীবনের শিকার আজকের কর্পোরেট দুনিয়া।

একটা বড় সংখ্যক মানুষই আজ কর্মসূত্রে অন্য শহরে গিয়ে থাকেন। কাজের চাপে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করে সময় কাটানো তো অনেক দূরের কথা, তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলারও ঠিক সময় পান না। এর পরেই একাকিত্ব ধাওয়া করতে শুরু করে। এইরকম বহুদিন ধরে চলতে থাকলে, নিজের থেকেও কথা বলার ইচ্ছে ক্রমশ কমতে থাকে।

নিজেকে সামাজিক ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রবণতাও বাড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহ্যাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষক জুলিয়ান হোল্ট তার একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, একাকিত্ব, অবসাদ, নিজেকে একঘরে করে নেওয়ার প্রবণতা মানুষকে তাড়াতাড়ি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এই গবেষণায় ৩ লক্ষ মানুষকে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা থেকেই উঠে আসে, যারা সামাজিক এবং পরষ্পরের সঙ্গে মেলামেশা করতে পছন্দ করেন, তারা তুলনামূলক ভাবে অনেক সুস্থ। কিন্তু যারা সমাজ থেকে নিজের দূরে সরিয়ে রাখেন তাদের কম বয়সেই মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জুলিয়ান হোল্ট জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ৪৫ বছরের নীচে প্রায় ৪২.৬ মিলিয়ন মানুষ এই ধরনের অবসাদে ভুগছেন।

বিশেষজ্ঞের মতে, ওবেসিটি যেমন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়, তার থেকেও বেশি মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অবসাদ। তার মতে শারীরিক ভাবে একজন কতটা সুস্থ তার অনেকটাই নির্ভর করে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন তার উপরে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা যেমন ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, অবসাদের থেকেও বেরনোরও কী উপায় রয়েছে?

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এর থেকে বেরতে হলে অবশ্যই মনের জোর বাড়াতে হবে। একা থাকা বাদ দিতে হবে এবং কাজের চাপ কমিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। আর সমস্যা অনেক দূর গড়ালে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে। এবেলা।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে