বুধবার, ০৯ আগস্ট, ২০১৭, ১০:১৯:৩৮

আট বছর বয়সে বিয়ে; ট্যাক্সি চালকের স্ত্রী থেকে ডাক্তার

আট বছর বয়সে বিয়ে;  ট্যাক্সি চালকের স্ত্রী থেকে ডাক্তার

এক্সক্লসিভ ডেস্ক:  ক্লাস থ্রিতে যখন পড়েন, বয়স মাত্র আট, পরিবারেরে চাপে তখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল রাজস্থানের রূপা ‌যাদবকে। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবেন। সংসার, পরিবার সামলে নিজের স্বপ্নের বীজে একটু একটু করে জল দিয়েছেন প্রতিরোজ।

কখনও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে মরতে দেননি। অবশেষে স্বপ্ন সফল। ধৈর্য্য আর অধ্যাবশায়ের ফল, অবশেষে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে প্রাথমিক পর্যায়ে সফল ২১ বছরের রূপা যাদব। ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্টে ২৬১২ র‍্যাঙ্ক নিয়ে পাশ করলেন রূপা ‌যাদব। আর এই আকাশছোঁয়া স্বপ্নপূরণে তাঁর পাশে সবসময় ছিলেন স্বামী শঙ্করলাল। অবশ্য শশুরবাড়ির সহৃদয় সাহায্যের কথাও ভোলেননি রূপা।    

গল্পটা ঠিক যেন টেলিভিশনের হিন্দি ধারাবাহিক 'বালিকা বধূ'র মতো। বালিকা বধূ আনন্দী। রাজস্থানের পটভূমির উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল ওই ধারাবাহিকটি। সেটি ছিল কল্পকথা। তবে এবার খোঁজ মিলল বাস্তবের বালিকা বধূর, সেটাও রাজস্থানেই। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন রূপা। মাধ্যমিক ভালো রেজাল্ট।

এরপর উচ্চমাধ্যমিকে ৮৪ শতাংশ নিয়ে পাশ করার পর বিএসি পড়াশোনার শুরু। এই সবের পাশাপাশি ডাক্তারি পড়ার জন্য জয়েন্টেও প্রস্তুতি নেওয়া। এই বছর ডাক্তারির অভিন্ন জয়েন্টে ২৬১২ র‍্যাঙ্ক নিয়ে পাশ করলেন স্কলার 'বালিকা বধূ'। এখন রূপা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য কাউন্সিলিং সেশনে অংশ নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, রূপার  পড়াশোনার জন্য ট্যাক্সি চালিয়ে অর্থ জোগাড় করেছেন তাঁর স্বামী শঙ্করলাল ‌যাদব। তবে রূপার অভি‌যোগ তাঁর পড়াশোনার জন্য অনেক সংস্থার কাছ থেকে সাহা‌য্যের আশ্বাস মিলেছে ঠিকই কিন্তু এখনও প‌র্যন্ত সাহা‌য্য মেলেনি। শঙ্করলাল বাবু জানাচ্ছেন, "আর্থিক সাহা‌য্য পেলে পরবর্তী পড়াশোনার খরচ চালাতে তাঁদের পক্ষে সুবিধা হবে"। -জিনিউজ

এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে