রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ০৪:০৯:৩৮

পড়াশোনা করতে চেয়েছিল মেয়েটি, তাই কি এটাই পাওনা ছিল

পড়াশোনা করতে চেয়েছিল মেয়েটি, তাই কি এটাই পাওনা ছিল

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চাওয়ার জন্য বড় মাশুল দিতে হল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে। পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের জন্য আদুরি সরকারের উপরে চলত শ্বশুরবাড়ির লোকের অকথ্য অত্যাচার। আর তার জেরেই শনিবার আত্মঘাতী হলেন ছাত্রী।

পড়াশোনা করতে চেয়েছিল মেয়েটি, তার পরেও কি এটাই পাওনা ছিল। পাঁচ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে আদুরি সরকারের বিয়ে হয় মালদহের পুকুরিয়ার সিমলাকের বাসিন্দা অনুপ মহলদার।

পেশায় সাটারিং মিস্ত্রি স্বামী বিয়ের কিছুদিন পরেই অন্য রাজ্যে চলে যায়। তখন শ্বশুরবাড়িতে থেকেই পড়াশোনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিজেই নেয় আদুরি। স্থানীয় মহানন্দা হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। আর এতই চটে যায় শ্বশুরাবড়ির লোকজন।

অভিযোগ, তার পড়াশোনাতে মত ছিল না শ্বশুর বাড়ির। এর পরেও পড়াশোনা চালানোর ব্যাপারে অনড় থাকায়, তার উপরে শুরু হয় শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার। তার খাওয়া দাওয়াও বন্ধ করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শেষে আদুরীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা।

তখন আবার বাপের বাড়িতে ফিরে আসে আদুরি। দুঃসময়ে স্বামী পাশে থাকবে, এই আশায় অনুপকে পোন করে আদুরি। কিন্তু স্বামী উল্টে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি দেয়। এখনেই শেষ নয়, অন্য রাজ্য থেকে ফোন করে অনুপ আদুরিকে ঘন ঘন খুনের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর জেরেই শনিবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী।

বাপের বাড়ির অভিযোগ, ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পারায়ই, আত্মঘাতী হয়েছে আদুরি। এই দিন সকালে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

কিন্তু আদুরির মৃত্যুর খবর পেয়েও তার শ্বশুরবাড়ির কেউই বাপের বাড়িতে আসেনি। ঘটনায় শ্বাশুরাবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনাক অভিযোগ এনেছে মৃতার পরিবার। তাঁরা দোষীদের কড়া শাস্তি দাবি করেছে। -এবেলা

এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে