মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৯:৪৯

আত্মহত্যার মুহূর্তে এক ফোনে ঘুরে গেল যুবকের জীবন!

আত্মহত্যার মুহূর্তে এক ফোনে ঘুরে গেল যুবকের জীবন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছেলেটি মৃত্যুর একেবারে দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে। যখন সে নিজের শেষ করে দেবে বলে ঠিক করেছিল, ঠিক তখনই বেজে ওঠে তার মোবাইলটা। ব্যস্! 'মরনা ক্যানসেল'! জীবন অন্য একটি মোড় নেয়।

ভাবছেন, প্রেমে দাগা খেয়েই বোধহয় ছেলেটি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। এবং মোক্ষম সময়ে বান্ধবীর ফোন আসায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় সে। ঘটনাটা একেবারেই তা নয়!

এক সামার ক্যাম্পে প্রথমবার দেখা হয় কেভিন ওয়ালশ ও ব্লেক মুরের। তখন তাদের বয়স ১৩ বছর। ফুটফুটে মেয়েটি তার কাছে এসে বলেছিল, 'কালো পোশাকে তাকে বেশ ভাল লাগছে'।

বন্ধুত্ব শুরু তখন থেকেই। কিন্তু হাইস্কুল পৌঁছানোর পরে বেশ কয়েক মাস কোনও যোগাযোগ ছিল না কেভিন ও ব্লেকের। এর মধ্যে দু'জনের জীবনই নিজের মতো করে এগিয়ে গিয়েছে।

কেভিনের জীবনে তখন ডিপ্রেশন ভর করেছে এবং একদিন সে চরম সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে। জীবন শেষ করে দেবে। আত্মহত্যা করার সব পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে, তখনই পরিচিত কন্ঠস্বর ভেসে ওঠে মোবাইলে। ব্লেক হঠাত্‍ই পুরানো বন্ধুর খোঁজে কেভিনকে ফোন করেছে।

মৃত্যুর সেই মুহূর্তেই বন্ধু ব্লেককে সব কিছু খুলে বলে কেভিন। তার হতাশার কথা। এমনকি আত্মহত্যার কথাও। উত্তরে ব্লেক শুধু এটুকুই বলে, 'এমন কর না'!

আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কেভিন জানায়, সে রাতে ফোন ছাড়ার আগে ব্লেক বাধ্য করেছিল কেভিনকে কথা দিতে যে, পরদিন সকালে সে ব্লেককে আবার ফোন করবে।

ওই একটি ফোন কলই জীবনের দিশা দেখিয়েছিল কেভিনকে। রাতে বাড়ি ফিরে মহানন্দে লিখতে বসে কেভিন- কোনও একদিন কোন ভাষায় সে ব্লেককে বিয়ের প্রস্তাব দেবে।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ব্লেককে প্রোপজ করে কেভিন, একটি কালো রঙের হিরের আংটি দিয়ে। কারণ, ব্লেকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই কালো রঙের জন্যই। তার পাঁচ মাস পরে বিয়ে করে কেভিন ও ব্লেক।

তারপর 'দে লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার...'

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লেক-কেভিনের এই কাহিনির লাইকের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে ১৩১ হাজার।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে