এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসক কিম জং উনকে নিয়ে সারা বিশ্বে এখন চর্চা চলছে। একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তার পরমাণু বোমা পরীক্ষা নিয়ে হইচই হচ্ছে, তেমনিই এই অনাচারী শাসককে নিয়ে বিশ্বের জনমানসেও আগ্রহের অন্ত নেই।
কিমের বয়স ৩৩ বছর। অথচ এই বয়সেই তাবড় বিশ্বনেতাদের টেক্কা দিয়ে চলেছেন তিনি। তার বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পরে ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কিম জং উন। তারপর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। তার সম্পর্কে কয়েকটি মিথ রয়েছে যা শুনলে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার।
তিন বছর বয়সে ড্রাইভিং শেখা : উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক কিম জং উন নাকি মাত্র তিন বছর বয়সে ড্রাইভিং শিখেছেন। এমনটাই দাবি করা হয় সেদেশে। সাধারণ বুদ্ধিতে বলে এত কম বয়সে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। তবে একনায়কতন্ত্র যখন তখন এমন মিথ থাকাটা অসম্ভব নয়।
নয় বছর বয়সে ইয়ট রেস জেতা : কিমের সরকারি জীবনীতে লেখা রয়েছে, মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি একটি ইয়ট কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ হন। পাশাপাশি এটাও লেখা রয়েছে যে তিনি একটি ইয়ট রেসও জেতেন।
পর্বতারোহন : ২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র জানায়, সেদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন দেশটির শাসক কিম জং উন। এমনকি বরফে মোড়া পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে কিমের ছবিও প্রকাশিত হয়। তবে তিনি নিজে গিয়েছেন নাকি সেটা সুপারইম্পোজড ছবি তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
অনন্য শিল্পী, গুনী সঙ্গীত পরিচালক : উত্তর কোরিয়ার স্কুলের পাঠ্য বইয়ে পড়ানো হয় যে কিম জং উন একজন দক্ষ শিল্পী ও একজন বিশ্ব মানের সঙ্গীত পরিচালক। সেটা জেনেই বড় হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
ভুতুড়ে শহর নির্মাণ : দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে একটি সুদৃশ্য শহর নাকি তৈরি করেছেন কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি এই গোটা শহরটাই মিথ্যা। ওখানের বাড়ির বাইরের দেওয়াল বাদে ভিতরে কিচ্ছু নেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই শহর বানানো হয়েছে। সেখানে মানুষ নয়, ভূত থাকে।
প্রকৃতির ডাক আসে না উত্তর কোরিয়ার শাসকদের : কিম জং ইলের জীবনীকার লিখেছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসকরা মৌলিক কাজকর্ম থেকেও এমনকী দূরে থাকেন। বলা হয়েছে, কিম জং উন মোবাইল টয়লেট নিয়ে ঘোরেন। তিনি ছোট গাড়িতে যান অথবা বড় গাড়িতে, সেখানে তার টয়লেট সঙ্গে সঙ্গে ঘোরে। কিমের জন্য ব্যক্তিগত ট্রেন, বিমান রয়েছে, সেখানেও এই একই সুবিধা আলাদা করে রাখা আছে।
এমটিনিউজ/এসএস