শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:২৪:১০

স্ত্রীর হাত থেকে বাঁচতে জেলে ঢোকার ফন্দি স্বামীর! অতঃপর..

স্ত্রীর হাত থেকে বাঁচতে জেলে ঢোকার ফন্দি স্বামীর! অতঃপর..

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কথায় বলে যেদিন বউ বাড়িতে থাকে না, সেদিন নাকি ছেলেদের ‘স্বাধীনতা দিবস’।  তবে একদিনের জন্য নয়, সারা জীবনের জন্য স্ত্রীর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছিলেন রাজস্থানের জয়পুরের এক যুবক। সেজন্য অভিনব ফন্দিও এঁটেছিলেন তিনি।

কী সেই ছক? ঠিক করেন বাকি জীবনটা জেলেই কাটিয়ে দেবেন। তাই থানায় গিয়ে বউ পেটানোর মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিলেন ওই যুবক। বিষয়টি অবশ্য ধরে ফেলেন পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার ফলও পেলেন হাতনাতে। বেদম প্রহারে গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে ওই পুলিশকর্তা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে জয়পুরের শিপ্রাপথ থানায় হাজির হন বছর তিরিশের ওই যুবক। তাকে জেলে পোরার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন তিনি। যোগেশ বলেন, তিনি তার স্ত্রীকে মারধর করেছেন। তাই তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এরপরই যোগেশের হিসেব বদলে যায়।

ইতিমধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় পৌঁছন যোগেশের স্ত্রীও। বিষয়টি বুঝতে আর অসুবিধা হয়নি মানসরোবর এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেশরাজ যাদবের। পুলিশ হিসেবে নয়, বরং বন্ধুর মতোই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন তিনি। সন্ধি করতে গিয়ে উলটে বিপত্তি ঘটে।

শিপ্রাপথ থানার স্টেশন হাউস অফিসার মুকেশ চৌধুরী বলেন, ‘ আমচকাই এসিপির মুখে সজোড়ে ঘুসি মারেন যোগেশ। মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করে পুলিশ অফিসারের।’

ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে যান থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে আহত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে যোগেশ গোয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যোগেশ গোয়াল পেশায় ব্যবসায়ী। জয়পুর শহরে তার একটি দোকান আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যখন থানায় আসেন, তখন তাকে দৃশ্যতই বিধ্বস্ত লাগছিল।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে