শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩৩:২৯

ভয়ংকর কাহিনী- দিনে ২০জন পুরুষের কাছে নির্যাতন হতো এই কিশোরী!

 ভয়ংকর কাহিনী- দিনে ২০জন পুরুষের কাছে নির্যাতন হতো এই কিশোরী!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এমন ভয়ংকর কাহিনী শুনেননি আগে কখনও-দিনে ২০জন মিলে শারীরিক নির্যার্তন করতেন এই কিশোরীকে! ছদ্ম-প্রেমের অভিনয় করে ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ১৬ বছরের কিশোরীকে ফাঁসিয়েছিল এক যুবক। তারপর তাকে বেচে দিয়েছিল দিল্লির সবচেয়ে বড় নিষিদ্ধ পল্লিতে।  দিল্লি পুলিশের সহায়তা নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে মেয়েটির সন্ধান পায়নি এ রাজ্যের পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বোনকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এল দিদি। তাঁরই সহায়তায় উদ্ধার করা গিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরীকে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মায়ের ফোনেই যুবকটির সঙ্গে কথা বলত ওই কিশোরী। এর পর আলাপ ক্রমে আরও গাঢ় হয়। মে মাসে মেয়েটিকে নিয়ে পালায় ছেলেটি। দিল্লিতে নিয়ে যায়। দিল্লির সবচেয়ে বড় নিষিদ্ধ পল্লি জিবি রোডে বিক্রি করে দেয় কিশোরীটিকে।

গত প্রায় ৫ মাস ধরে ওই নিষিদ্ধ পল্লিতে এক নারকীয় জীবন কাটিয়েছে ওই কিশোরী। দিনে অন্তত ২০ জনের সঙ্গে শারীরিক মিলন করতে হত। সঙ্গে চলত অকথ্য অত্যাচার। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৪টে এবং রাত ৮টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টে পর্যন্ত দুটো শিফটে ভাগ করা থাকতো তার ‘কাজ’-এর সময়। দেওয়া হতো ওষুধ। দিনে দু’বেলা খাবার জুটত। শুতে হতো একচিলতে জায়গায়। প্রতি খদ্দের দিত ৩৫০ টাকা। সঙ্গে ৫০ টাকা টিপস। কিন্তু পুরো টাকাটাই ছিনিয়ে নেওয়া হতো।

শেষ পর্যন্ত এক খদ্দেরের ফোন থেকে কোনও মতে মা’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয় ওই কিশোরী। জানায়, কোথায় রয়েছে সে। এর পর কলকাতা পুলিশ দিল্লি পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই নিষিদ্ধ পল্লিতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। কোনও সন্ধান মেলেনি ওই কিশোরীর।

এর পর ওই কিশোরীর দিদি এগিয়ে আসেন। তিনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনিই বুদ্ধি করে ওই খদ্দের, যার ফোন থেকে বোন যোগাযোগ করছিল, সেখানে ফোন করেন। তার পর কেটে দেন। ওই লোকটি তখন ফোন করলে তিনি ফোনে তার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করেন। লোকটি তাকে নিজের পরিচয় ও ঠিকানা পাঠায়। বলে দিল্লিতে চলে আসতে।

সেই ঠিকানা ও পরিচয় পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই লোকটিকে আটক করে। শেষ পর্যন্ত সে-ই সন্ধান দেয় মেয়েটির। পুলিশ যে খবর পেয়ে গিয়েছে তা জানতে পেরে যায় দালালরা। তারা আর ঝুঁকি নেয়নি। নিজেরাই মেয়েটিকে পৌঁছে দেয় ডায়মন্ড হারবারে। সঙ্গে দেয় ৩০০০ টাকা। তবে যাবার আগে বলে যায়, অর্থ রোজগারের প্রয়োজন হলে সে যেন আবার ফিরে আসে জিবি রোডে।

বিপন্ন কিশোরীটিকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে। এখনও আতঙ্ক কাটেনি তার। গত ক’মাসের ভয়ঙ্কর জীবন যাপনের ক্ষত যাতে দ্রুত শুকিয়ে যায়, তার জন্য চলছে কাউন্সেলিং।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে