শরীরের ওজন কমাতে এই পাঁচটি খাবারই যথেষ্ট
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সুস্থ ও সবল থাকার জন্য শরীরে ৪০ রকমেরও বেশি পুষ্টি উপাদান দরকার হয়। কেবল একটি বা এক রকমের খাবার সব রকমের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে না। তাই নানা রকমের খাবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রেখে এই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয় বা পুষ্টির সামঞ্জস্য করতে হয়। আর একেই বলে ব্যালান্সড ডায়েট। এই ব্যালান্সড ডায়েটে অনেক রকমের খাবার থাকে বলে খাওয়ায় একঘেয়েমি আসে না। শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের ব্যালান্সড ডায়েটে পাঁচ রকমের খাদ্য থাকতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাদ্য থেকে পাঁচ রকমের খাবার আমরা একবেলা একটি করে খাব এবং প্রতি গ্রুপ (যেমন শর্করা, আমিষ, শাকসবজি, ফল ও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার) থেকে এক বা একাধিক রকমের পুষ্টি পাব। যেমন—পেয়ারাতে আছে ভিটামিন-সি, কিন্তু ওমেগা-৩ নেই, যা আছে মাছে। পনিরে আছে ভিটামিন বি-১২, কিন্তু ভিটামিন-সি নেই, পেয়ারায় ভিটামিন বি-১২ নেই।
আবার এই পাঁচ গ্রুপের খাবারের ক্ষেত্রেও একেকটি গ্রুপের খাবারগুলোর একেক রকম পুষ্টি আছে। তাই প্রতি গ্রুপের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা আনতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাবারগুলোও খেতে হবে একেক সময় বা দিন একেক রকম। অর্থাত্ একদিন শর্করা হিসেবে ভাত খেলেন অন্যদিন খেলেন রুটি বা নুডলস। কোনো সবজিতে ভিটামিন-সি বেশি, কোনোটাতে আবার আয়রন বেশি।
তাই বিভিন্ন রকমের সবজি একেক বেলা একেক রকম খেতে পারেন। ফলের ক্ষেত্রে একবেলা কমলা খেলেন, তো আরেক বেলা তরমুজ বা কলা খান। আরেক দিন এক বেলা আম খেলেন, অন্য বেলা আপেল। পাঁচ রকমের খাবারগুলো হলো—১.শর্করা : ভাত, আটা, ময়দা, পাস্তা, নুডলস, রুটি, সিরিয়াল বা ওটস ইত্যাদি। ২. আমিষ :মাছ, মাংস, ডিম, বিনস, বাদাম, ডাল। ৩. শাকসবজি ও ডাল। ৪. ফল এবং ৫. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার :পনির, দই ইত্যাদি।
৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ