শনিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:০২:৩১

ছোট্ট পেইটনের হয়ে স্কুলে যায় রোবোট পাভস!

ছোট্ট পেইটনের হয়ে স্কুলে যায় রোবোট পাভস!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কিছু বছর আগেও সব ঠিকঠাকই চলছিল। সমবয়সী আর পাঁচ জন বাচ্চার মতোই স্কুলে যেত নিউইয়র্কের বাসিন্দা বছর দশেকের পেইটন ওয়ালটন। পড়াশোনার পাশাপাশি সাজগোজ, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা সবই চলছিল সমান তালে। হঠাত্ই সব কিছু ওলোট পালট! ছোট্ট পেইটনের দেহে যে তত দিনে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসার। প্রাণঘাতী ক্যানসারের প্রকোপে তত দিনে স্কুল যাওয়াও বন্ধ ছোট্ট মেয়েটির। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলাও। দিন কে দিন মুষড়ে পড়ছিল মেয়েটি। অত প্রাণচঞ্চল পেইটন দিনকে দিন কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছিল। রোগের যন্ত্রণার থেকেও পেইটনকে বন্ধু-বিচ্ছেদ এবং স্কুলে না যেতে পারাই বেশি কষ্ট দিচ্ছিল। মন মানছিল না পেইটনের বাবা-মায়েরও। কী করে মেয়টির মন ভাল করা যায় এ দুশ্চিন্তাতেই তাঁরা অস্থির। মুশকিল আসান হিসেবে এক দিন খোঁজ মিলল ডবল রোবোটিক্স কোম্পানির। তারাই ছোট্ট পেইটনের জন্য একটি রোবোট বানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য খরচ পড়েছে তিন হাজার মার্কিন ডলার। পেইটনের পাশে দাঁড়াতে টাকাটা জোগাড় করে দিয়েছে তার বন্ধুরা। কী ভাবে কাজ করবে রোবোটটি? রোবোটের তলায় চাকা লাগানো থাকবে। সেখানেই একটি আইপ্যাড স্ক্রিনও থাকবে। এর সাহায্যে মেরিল্যান্ডে তার স্কুলে কী কী হচ্ছে সব ঘরে বসেই দেখতে পারবে পেইটন। বন্ধুদের সঙ্গে কথাও বলতে পারবে সে। রোবোটটির আই-প্যাডের সঙ্গে ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে পারবে সে। অ্যাপের সাহায্যে রোবোটটিকে চালনাও করতে পারবে পেইটন। নতুন বন্ধুর নামও ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছে সে। নাম রেখেছে ‘পেইটনস অসম ভার্চুয়াল সেল্ফ’ বা সংক্ষেপে পাভস। পাভসকে পেয়ে কতটি খুশি পেইটন? পাভস আসাতে ছোট্ট পেইটনের রোগ যন্ত্রণার মাঝেও হাসি ফুটেছে জীবনে। কিছু দিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হবে সে। নিউইয়র্কের নামজাদা ক্যানসার হাসপাতাল মেমোরিয়াল স্লোয়ান সেন্টারে থাকবে সে। সপ্তাহ পাঁচেক সেখানে থাকতে হবে তাকে। আগে হলে চিন্তা থাকত। কিন্তু এখন তো এসে গিয়েছে পাভস। স্কুলে পেইটনের অনুপস্থিতিতে হাজিরা দেবে তারই ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ পাভস। ৭/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে