এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে সপ্তাহখানেক ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তার মেয়ে। এক বার বাবার বাড়িতে এসে ঘুরেও গিয়েছেন। দরজা বন্ধ দেখে আর ডাকাডাকিতে সাড়া না পেয়ে ফিরে যান।
উপায় না পেয়ে দরজা ভাঙারই সিদ্ধান্ত নেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। বৈঠকখানার সোফায় স্থির হয়ে পড়ে রয়েছেন বাবা। পচাগলা দেহ, কোথাও আবার কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৭০ বছরের ওই ব্যক্তির নাম কে পি রাধাকৃষ্ণণ। তিনি কেরলের ডেন্টাল কলেজের শিক্ষক ছিলেন। অবসরের পর থেকে তিরুঅনন্তপুরমের ওল্ড মেডিক্যাল কলেজ রোডের একটি দোতলা বাড়িতে একাই থাকতেন। স্ত্রী অম্বিকা কোট্টায়ামে মেয়ের সঙ্গে আলাদা থাকেন। স্ত্রী অম্বিকা এবং মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতেন রাধাকৃষ্ণণ। মাঝেমধ্যে এসে মেয়ে তাঁকে দেখে যেতেন।
কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে বাবার খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। ফোনও বন্ধ ছিল। দরজার বাইরে বিল এবং চিঠি জমছিল। রবিবার সেগুলিই নিতে আসেন রাধাকৃষ্ণণের মেয়ে। পুলিশকেও খবর দেন তিনি। পুলিশই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে।
মেডিক্যাল কলেজ পুলিশের এসএইচও গিরিলাল জানান, দরজা খুলতেই দুর্গন্ধে এক মুহূর্ত ভিতরে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। কোনও রকমে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন সোফার উপরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহটি পড়ে রয়েছে। পচেগলে গিয়েছিল দেহটি। কিছু কিছু জায়গায় কঙ্কালও বেরিয়ে পড়েছে। তাঁর মেয়ে মৃতদেহটি শনাক্ত করেছেন। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অস্বাভাবিক খুনের মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু করেছে।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে