শুধু রামরহিম নয়, আশ্রমের একাধিক পুরুষ শিষ্যর সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল হানিপ্রীতের!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে সামনে আসছে রাম রহিম ও তার ‘পালিত কন্যা’ হানিপ্রীতের এক একটি কীর্তির খবর। বাবা জেলে, সম্প্রতি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে পালিত কন্যা হানিপ্রীতও। সেখানেই সে স্বীকার করেছে বাবার শিষ্যদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল তার।
সে নিজেই জানিয়েছে বাবার এক ভক্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা। হানির দাবি, ‘সংবাদমাধ্যমে আমাকে আর বাবাকে নিয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে। হাতে হাত রাখলেই বাবা-মেয়ের পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে কলঙ্কের দাগ দেওয়া যায় না।’
তবে একাধিক সুপুরুষ শিষ্যর সঙ্গে যে তার নানা সময়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে সে কথা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে হানিপ্রীত। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সহবাস করেছে। তবে কখনওই একজন পুরুষকে বেশিদিন যে তার ভাল লাগত না সেকথাও আড্ডার মেজাজে পুলিশ লকআপে ডিউটিতে থাকা মহিলা কনস্টেবলদের বলেছে রামরহিমের এই ছায়াসঙ্গিনী।
জেরার মুখে হানিপ্রীত বলেছে, এতদিন তার বান্ধবী সুখদীপ কৌরের সঙ্গেই ছিল সে। ভাতিন্ডা থেকে ২০ কিমি দূরের বালাওনা গ্রামেই নাকি একা একা বাবার জন্য কাঁদছিল হানিপ্রীত। যদিও পুলিশের দাবি, ভন্ডবাবাকে আড়াল করতেই নানরকম গল্প বানাচ্ছেন হানি। পুলিশকে ধোঁকা দিতেই এ জাতীয় কথাবার্তা বলছে সে। রামরহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের অবৈধ সম্পর্কের কথা একেবারেই রটনা নয়।
কারণ, ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক শিষ্য হানির সঙ্গে বাবার নানাধরনের আপত্তিকর দৃশ্যের সাক্ষী থাকার কথা স্বীকার করেছে। এমনকী হানিপ্রীতের স্বামীও ভন্ডবাবার সঙ্গে তার স্ত্রীকে অপ্রীতিকর অবস্থায় একই বিছানায় দেখেছেন। সর্বোপরি রাম রহিম বাবার ডেরা থেকে যে সমস্ত ভিডিও উদ্ধার হয়েছে তাতেও হানিপ্রীতকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের আপত্তিকর ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে।
এতদিন যে বাড়িতে ছিল বলে হানি দাবি করেছে, শুক্রবার সকালে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। কিন্তু হানির কোনও চিহ্নই সেখানে মেলেনি। বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ার কথাও বেমালুম মিথ্যা অভিযোগ বলে উড়িয়ে দেয় বাবার পরি। ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’, ভন্ডবাবার পালিতা কন্যার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে এমনটাই মত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের।
পুলিশকে তিনি পরোক্ষে দায়ী করলেন হানিপ্রীত কাণ্ডে। রাম রহিমের সাজা ঘোষণার দিন তার ভক্তরা পঞ্চকুলা ও হরিয়ানা জুড়ে যে তাণ্ডব চালায়, সেই দাঙ্গার মূলচক্রী হানিপ্রীত কিন্তু ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। জেলবন্দি পাঁচজন ভক্ত জানিয়েছে, হানিই নিজে দাঙ্গার জন্য এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। ফোনে ডেরার সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নির্দেশ দিতেন হানিপ্রীত।
এমটিনিউজ/এসএস
