এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খাটো জাতের ১০ লাখ গাছ ঠিকমত ফল দিলে বছরে দেশে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন নারিকেলের ফলন বাড়বে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকে উন্নত ও খাটো জাতের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০১৪-২০১৫ এর হিসেব অনুযায়ী দেশের ৪ হাজার ৮৭ একর জমিতে ৬১ লাখ ৬ হাজার ২০৩টি প্রচলিত লম্বা জাতের নারিকেল গাছ আছে। প্রতি গাছে ৬৯ কেজি হারে ওই গাছগুলো থেকে কোপরা (নারিকেলের শাস) উৎপাদন হয় ৪ লাখ ২১ হাজার ৩২ মেট্রিক টন। ২০১৩-২০১৪ তে দেশে ৫ লাখ ৬৩৭ একর জমির নারিকেল গাছে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন কোপরা উৎপাদন হয়েছিল।
পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, নারিকেলে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় প্রতি বছর ভারতের তামিলনাড়– ও কেরালাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমান কোপরা আমদানি করতে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বাংলাদেশের চাহিদার কারণে ভারতের তামিলনাড়– ও কেরালায় নারিকেলের দাম ওঠা নামা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারিকেলের চাষ ও ফলন বাড়িয়ে কোপরা আমদানি কমানো গেলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। এতে জিডিপিতে কৃষির অবদানও বাড়বে। একবার গাছ লাগিয়ে বছরের পর বছর ধরে ফল পাওয়া যায়। এতে বছরে পরিচর্যা খরচও খুবই সামান্য।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস