মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০৮:১০:১৯

স্কুল পড়ুয়া ১৯ বছরের ছাত্র শূন্য থেকে ১০০ কোটি টাকার মালিক!

স্কুল পড়ুয়া  ১৯ বছরের ছাত্র শূন্য থেকে ১০০ কোটি টাকার মালিক!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অক্ষয় রুপারেলিয়া। বয়স ১৯ বছর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা। এখনো স্কুলেই পড়াশুনা করেন। এরমধ্যেই তিনি শূন্য থেকে একশো কোটির টাকার মালিক হয়ে গেছেন।

সম্প্রতি ব্রিটেনের কমবয়সী কোটিপতিদের তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন। বছর খানেকের মধ্যেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকেই নিজের অনলাইন ব্যবসা দেখাশুনা করেছেন অক্ষয়। সামান্য টাকার বিনিময়ে সম্পত্তি কেনাবেচায় মানুষজনকে সাহায্য করে তাঁর সংস্থা ‘ডোরস্টেপস ডট কো ডট ইউকে’। দেড় বছর আগে এ সংস্থার পথচলা শুরু। এই মুহূর্তে যা এখন ব্রিটেনের বৃহত্তম সংস্থাগুলির মধ্যে ১৮ নম্বরে রয়েছে।

শুরুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে অক্ষয় বলেন, 'সংস্থার ওয়েবসাইট চালুর সপ্তাহ খানেকে মধ্যে মধ্যেই সাসেক্সের এক জনের কাছ থেকে ফোন কল আসে। সেখানে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। সঙ্গে একখণ্ড জমি। দুটোই বেচতে চান তিনি।' সে সুযোগ হাতছাড়া করেননি অক্ষয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন সাসেক্সে। নিজের গাড়ি ছিল না। ড্রাইভিং লাইসেন্স তো দূরের কথা। ফলে ভগ্নীপতিকে ৪০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা) দিয়েছিলেন তাঁকে সাসেক্সে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

সাসেক্সে পৌঁছে সেই জমি-বাড়ির ছবি তুলে আনেন অক্ষয়। এরপর তা বিক্রি করেছিলেন তিনি।
সেই থেকে শুরু। কৌশিক এবং রেণুকা রুপারেলিয়ার ছেলেকে এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কেয়ার ওয়ার্কার কৌশিক এবং স্কুলশিক্ষিকা রেনুকা— দু’জনেই বধির। ছেলের সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত তাঁরা।
 
অক্ষয়ের সাফল্যের মতো তাঁর ব্যবসার পদ্ধতিও টা ভিন্ন। স্যুট-বুট পরা এস্টেট এজেন্টের বদলে তাঁর ব্যবসায় কর্মী হিসেবে রয়েছেন মধ্যবয়সী গৃহিণীরা। তাঁরাই ক্রেতাদের ঘর-বাড়ি দেখাতে নিয়ে যান। এই মুহূর্তে তাঁর সংস্থায় কাজ করেন ১২জন কর্মী।

এমন মধ্যবয়সী নারীদের ওপর ভরসা কেন অক্ষয়ের? তাঁর মতে,'নারীদের ওপরে ক্রেতাদের আস্থা আছে। আর নারীরা সত্যি কথা বলেন! 'এই ব্যবসায় এটা খুবই জরুরি। কারণ যারা নিজেদের ঘর-বাড়ি বিক্রি করছেন, বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই তা তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় লেনদেন।'

মা-বাবার কাছ থেকে এখন আর পকেটমানি নেন না অক্ষয়। বরং তিনিই মা-বাবাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন। আর পাঁচটা স্কুলপড়ুয়ার ছেলেদের মতো নন তিনি। না হলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ ছেড়ে দেন! কারণ ব্যবসায় মন দিতে চান অক্ষয়। তবে একটা সাধ এখনও মেটেনি তাঁর। ব্যবসার মুনাফা থেকে প্রতি মাসে টাকা জমানো শুরু করেছেন। একটা গাড়ি কিনতে চান অক্ষয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে