মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১০:১৪:০২

আইসিইউতেই মুমূর্ষু প্রেমিকাকে আংটি পড়ালেন প্রেমিক!

 আইসিইউতেই মুমূর্ষু প্রেমিকাকে আংটি পড়ালেন প্রেমিক!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নয় বছরের প্রেম তাদের। কথা ছিলো সামনের বছর বিয়ের পিড়িতে বসবেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী এক দুর্ঘটনা কেড়ে নিতে বসেছিলো প্রেমিকার জীবন। একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া প্রেমিকা যখন আইসিইউতে লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে, তখন প্রেমিকের ভালোবাসার আংটি খুঁজে নিলো তার অনামিকা।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গুয়াহাটিতে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতালে। হিমাংশু পঙ্কজ বড়ো ১৫ অক্টোবর প্রেমিকা সঙ্গীতার সঙ্গে সেরে ফেলেন বাগদান।

কে সি দাস কমার্স কলেজে পড়ার সময় থেকেই প্রেম রঙিয়ার হিমাংশু ও মির্জার সঙ্গীতার। ন’বছরের প্রেমপর্ব শেষে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। সঙ্গীতা এখন এম কম করছেন। হিমাংশু কাজ করেন নির্মাণ সংস্থায়।

বিয়ের প্রস্তুতি নিতেই ৮ অক্টোবর গাড়ি ভাড়া করে বাবার সঙ্গে মির্জা যাচ্ছিলেন সঙ্গীতা। কিন্তু বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটা দুর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মারা যান চালক ও তার বাবা।

মারাত্মক আহত সঙ্গীতাকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। সেখানে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কোমায় ছিলেন তিনি। ১৪ তারিখে জ্ঞান ফিরলেও কোমর, হাত ও মেরুদণ্ড ভাঙা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া সঙ্গীতা শেষ পর্যন্ত বাঁচবেন কিনা- তা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি এখনও।

কিন্তু এরপরও পূর্বনির্ধারিত বাগদানের তারিখেই হিমাংশুর হাতে আংটি পড়তে চান সঙ্গীতা। প্রেমিকও তার ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা দেখান। পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে বলেন এই দিনে আইসিইউ-এর নিয়মটা একটু পাল্টাতে। হাসপাতালের লোকজনও রোগীর মানসিক অবস্থার কথা ভেবে সায় দেন এই অনুরোধে।

১৫ অক্টোবর, ১ নম্বর বেডে শোয়া সঙ্গীতাকে আংটি পরিয়ে দেন হিমাংশু। গায়ে তুলে দেন নতুন শাড়ি। হবু বউমাকে আশীর্বাদ করেন হিমাংশুর বাবা-মা। সঙ্গীতার কপাল ও সিঁথিতে আলতো সিঁদুর ছুঁইয়ে দেন হিমাংশু। অন্য বেডের রোগীরা ও তাঁদের আত্মীয়রাও হবু বর-কনেকে আশীর্বাদ করেন। হিমাংশুর পরনে ছিল নতুন পাঞ্জাবি।

আশীর্বাদের পরে নার্স, ডাক্তার, অন্য রোগী ও তাঁদের পরিবার-সহ সকলকে মিষ্টিমুখ করায় হিমাংশুর পরিবার।-আনন্দবাজার
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে