এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রবাদ অনুযায়ী পাঁচটি হয়তো নয়| কিন্তু সাপের দুটো পা দেখা যেতেই পারত এমনিতেই| তার জন্য কারও বাড় বাড়ার দরকার হত না| তবে দেখার জন্য থাকতে হত প্রাগৈতিহাসিক যুগের পৃথিবীতে|
ফসিল বিশেষজ্ঞ-প্রাণী বিজ্ঞানী-সরীসৃপ গবেষকদের মতে, সাপের পূর্বপুরুষদের দেহে ছিল দুটি পা| নির্বিষ জলঢোড়া থেকে অ্যানাকোন্ডা, সবার উত্স নাকি সেই পূর্বপুরুষ|
বিভিন্ন ফসিল থেকে পাওয়া জেনেটিক সিকোয়েন্সিং, ৭৩ টি সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা| আমেরিকার Yale University-র প্যালিয়ন্টোলজিস্ট বা ফসিল বিজ্ঞানীরা সাপের বংশলতিকা তৈরি করেছেন|
এই মর্মে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদন| প্যালিয়ন্টোলজিস্ট বা ফসিল বিজ্ঞানী এবং হার্পেটোলজিস্ট বা সরীসৃপবিদদের গবেষণা বলছে, সাপেদের ওই পূর্বপুরুষ পৃথিবীতে বিচরণ করত আজ থেকে ১২৮.৫ মিলিয়ন বছর আগে, দক্ষিণ গোলার্ধে|
নিশাচর এই প্রাণীর দেহে দুটি পা ছিল| সেই পায়ে থাকত টো এবং অ্যাঙ্কল, দুটি অংশই| পায়ের পাশাপাশি তার দেহে আর থাকত তীক্ষ্ণ ধারাল দাঁতের সারি| যা দিয়ে গেঁথে তুলত তারা শিকার|
এই পূর্বপুরুষ থেকেই ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে জন্ম হয়েছে আজকের সর্পকুল| বিবর্তনের অমোঘ নিয়মে লুপ্ত হয়েছে এক জোড়া পা|
এমটিনিউজ/এসএস