এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পোষ্যকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তারা। হনলুলু থেকে তাইহিতি নৌকায় পাড়ি দিয়েছিলেন জেনিফার অ্যাপেল ও তাসা ফুইয়াভা। মাঝ সমুদ্রে পৌঁছতেই ঘটল বিপত্তি। আচমকা বন্ধ হয়ে যায় নৌকার ইঞ্জিন।
কোনওভাবেই সেটি চালু করতে পারেননি জেনিফাররা। কী করবেন বুঝতেই পারছিলেন না। আশে পাশে কোনও জলযানও চোখে পড়ছিল না। উদ্ধারের পথ যতক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ এই নৌকাতেই কাটাতে হবে তা বুঝতে বাকি ছিল না তাদের।
২৩ মে হনলুলু থেকে অভিযান শুরু করেছিলেন। আবহাওয়া খারাপ থাকায় স্যাটেলাইট ফোনও কাজ করছিল না। সেকারণে বন্দরেরে সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না। দিকভ্রান্ত হয়ে সমুদ্রের একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছিল তাদের নৌকা।
টানা পাঁচমাস এভাবেই নৌকাতে কাটাতে বাধ্য হন জেনিফার ও তাসা। সঙ্গে ছিলো তাদের পোষ্যও। অভিযানের জন্য সঙ্গে নেওয়া খাবার খেয়েই কাটিয়েছেন। অবশেষে শুক্রবার তাদের উদ্ধার করে নৌবাহিনী। উদ্ধারের পর নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অবশেষে মাটির স্পর্শ পাবেন।
গত ৫ মাসে সমুদ্রের ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন জেনিফার ও তাসা। তিন তিনটি সামুদ্রিক ঝড়, হাঙরের হামলা, কী নেই তাদের অভিজ্ঞতায়। জেনিফার জানিয়েছেন একটি এমনই সামুদ্রিক ঝড় এসেছিল যেটি ৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল। ঢেউ উঠেছিল ৩৭ থেকে ৫২ ফুট উঁচু। প্রায় ডুবে যেতে বসেছিল তাদের নৌকা। বেঁচে ফিরতে পারবেন সে আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা।
একসময় আবার হাঙরের গ্রাস থেকে কোনও রকমে বেঁচে ফিরেছেন। একটি হাঙর তো টানা ১ দিন তাদের নৌকার চারপাশে ঘুরপাক খেয়েছিল। একপ্রকার মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেছেন তারা। তাইওয়ানের মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা তাঁদের দেখতে পেয়ে উদ্ধারকারীদের খবর দেন। তারপরেই নৌবাহিনী এসে উদ্ধার করে।
এমটিনিউজ/এসএস