মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৬:২৯

সাইকেল দেখতে অনুমতি, দাম ৪ কোটি টাকা!

সাইকেল দেখতে অনুমতি, দাম ৪ কোটি টাকা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আধুনিক যুগে হাল ফ্যাশনের ছড়াছড়ি। কত কিছুই না আবিষ্কার হচ্ছে। তবে ছোট ধরনের এমন কিছু আবিষ্কার হচ্ছে যা শুনে চোখ কপালে উঠার মত। প্যাডেল ঘুরালে গুনতে হবে ৪ কোটি টাকা। বিশ্বাস হচ্ছে না? যদি না হয় তবে শুনন গল্পটি। ১৯৭৫ সালে উত্তর আমেরিকার ওয়াটার লও, ওয়িসকনসিন শহরে সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্রেক যাত্রা শুরু করে। প্রথমদিকে ৯০০টি সাইকেল তৈরি করে তারা, যার সর্বোচ্চ দাম ছিল পনের হাজার টাকা। পরের বছরের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধিত হয়। পেন সাইকেল সর্বপ্রথম ট্রেকের ডিলার হয়। ১৯৭৭ সালে ট্রেকের বছরে বিক্রি হয় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সাইকেল। আজ সেই সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর সেরা। ১০ থেকে ১২ বর্গফুটের বিক্রয় কেন্দ্র এখন বিশাল কারখানায় রূপ নিয়েছে। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান এই ঠিকানায়। ২০০৯ সালে সাইকেল ডিজাইনার ডেমিয়েন হ্রাস্ট ‘ট্রেকে’র ‘বাটারফ্লাই ট্রেক মেডোন’ সাইকেলটি তৈরি করেন, যা বিশ্বে বর্তমানে বিক্রি হওয়া দামি সাইকেল। লেন্স আর্মস্ট্রং নামের এক বিখ্যাত সাইক্লিস্ট সাইকেলটি দিয়ে ‘ট্যুর দ্য ফ্রাঞ্চ’ সম্পন্ন করেছিলেন। সাইকেলটি বর্তমানে টেক্সাসের কেটি শহরে রয়েছে। চাইলেই আপনি সাইকেলটি দেখতে পারবেন না। এজন্য আগে থেকেই অনুমতি নিতে হবে। ২০০৯ সালের ১ নভেম্বরে সাইকেলটিকে নিলামে তোলা হয়। আর্মস্ট্রংয়ের ক্যান্সার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রচারণা এবং প্রসারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেই সাইকেলটি নিলামে তোলা হয়। নিলামেই সাইকেলটি বিক্রি করা হয় ৫ লাখ ডলারে। সাইকেলটিতে অসাধারণ ডিজাইন। পাওয়ার, রাইডিং কোয়ালিটি এবং নির্মাণ উপাদানে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি। সাইকেলটি দেখলে মনে হবে যেন কোনো প্রজাপতির বাগান। সাইকেলটি মূলত রেসিংয়ের জন্যই বানানো হয়েছে। সাইকেলটি দুনিয়ার সেরা সাইকেল। ১০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে