রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:১৯:০৩

দিনের আলোয় মা, আর অন্ধকারে বোরকা পরা ট্যাক্সি ড্রাইভার

দিনের আলোয় মা, আর অন্ধকারে বোরকা পরা ট্যাক্সি ড্রাইভার

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জরুরি কোনো কাজে যাচ্ছেন। গণপরিবহনে ওঠার জো নেই। রিক্সা বা অন্য উপায়ে গেলেও সময়মতো পৌঁছানো যাবে কিনা সন্দেহ আছে। দ্রুত আর একটু আরামে যাওয়ার জন্যে ট্যাক্সি ক্যাব নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করলেন। একটা ক্যাব পেয়েও গেলেন। সিটে বসার পর যদি দেখেন ক্যাবের ড্রাইভার বোরকা পরা নারী, তো একটু চমকে উঠবেন নিশ্চয়ই। মুম্বাইয়ে যারা নিয়মিত ট্যাক্সি ক্যাবে যাতায়াত করেন, তাদের প্রায়ই চমকে ওঠার অভিজ্ঞতা হচ্ছে।  

লক্ষ্নৌতে বেড়ে ওঠা রিজওয়ানা শাইখের বয়স এখন ৩০। তিনি আসলে গৃহিনী। ব্যবসায়ী জোগেশ্বরীর সঙ্গে বিয়ের পর মুম্বাইয়ে চলে আসেন। দিনের আলোতে বাড়িতেই থাকেন। বাচ্চা-সংসার সামলান। আর আলো নিভলেই বোরকায় জড়ানো ট্যাক্সিচালক হয়ে যান।  

সাত বছরের এক ছেলে আছে শাইখের। বললেন, আমাকে ড্রাইভিং সিটে বসা দেখে অবাক হয়ে যান যাত্রীরা।  

রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান তিনি। তা ছাড়া রাতের মুম্বাইয়ে একজন নারীর ক্যাব চালানো বিপজ্জনক হয়ে উঠতেই পারে। ভয় করে অবশ্য মাঝে মাঝে। অনেক সময় এমন সব লোকজন ওঠে যাদের দেখলে ভয় লাগে। গাড়ি চালাতেই অস্বস্তি লাগে, বললেন শাইখ।  

এ পেশায় আসার কারণ অবশ্য রয়েছে। সংসারের উন্নতিতে কিছু আয় করাই তার উদ্দেশ্য। আগে ছিলেন বিউটিশিয়ান। কিন্তু ট্যাক্সি চালিয়ে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি থাকে। এটা আয়ের দারুণ উৎস।  

এ কাজে স্বামী এবং পরিবার আমাকে দারুণ উৎসাহ জোগায়। তা ছাড়া সংসার চালাতে এই আয় অতি জরুরি, বলেন তিনি।  

আসলে এখন অনেক নারীই ড্রাইভিং পেশা বেছে নিচ্ছেন। উবার এ বিষয়ে বেশ এগিয়ে। তবে ওলা বা উবারের মতো প্রতিষ্ঠান কত নারীকে এ পেশায় সুযোগ দিয়ে তা খোলাসা করে বলেনি।  

ভারতের বেশ কয়েকটা শহরে নারী ড্রাইভারদের সংখ্যা ৪০ শতাংশের মতো বেড়ে গেছে। যদিও সমাজে এখনও নারীরা অনেকে পেশাতেই সহজে নিয়োজিত হতে পারেন না। কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। শাইখের মতো রক্ষণশীল পরিবারের নারীরাও ট্যাক্সি ক্যাবের ড্রাইভার হচ্ছেন। তাদের জন্যে আয়ের বড় একটা উৎস এটা।- টাইমস অব ইন্ডিয়া
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে