এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এ এক আশ্চর্য বিয়ে। স্ত্রী’র প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী’র সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিতে দু’জনের বিয়ে দিয়ে দিলেন স্বামী। এখানেই শেষ নয়। স্ত্রী’র সেই প্রেমিক স্বামীর নিজেরই আপন ভাই!। দেওর-বউদির বিযের পরে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন দাদা। শুনতে যতই অবিশ্বাস্য আর ফিলমি মনে হোক না কেন, ঘটনাটি একেবারে নিছক সত্যি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ৩০ বছরের পবন গোস্বামীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার বিয়ে হয় চার বছর আগে। তাঁদের একটি দু’বছরের মেয়েও আছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পবনের ভাই সজনের সঙ্গে প্রেম শুরু হয় নববধূর। ক্রমে সেই সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। আর সকলের মতো পবনও টের পান সেই প্রেমের আঁচ। এ সব ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য হিংসার যে চেনা গল্প রয়েছে, সেই পথে পা বাড়াননি ভাগলপুরের ঘোঘা গ্রামের পবন। তিনি স্থির করেন ডিভোর্স দেবেন প্রিয়ঙ্কাকে।
ততদিনে গোটা গ্রামে চাউর হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা। একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পরে পবন আর দেরি করেননি। ডিভোর্স পেপারে সই করেন পবন ও প্রিয়ঙ্কা। তার পরে গ্রামের এক আশ্রমে চার হাত এক হয় সজন ও প্রিয়ঙ্কার।
এর পর আর ওই গ্রামে থাকেননি পবন। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন পেশায় শ্রমিকের কাজ করা পবন। প্রিয়ঙ্কা এখন সজনের স্ত্রী। সজন অবশ্য এখনও বেকার। চাকরি খুঁজছেন।
আর প্রিয়ঙ্কা? তিনি তাঁর ছোট্ট মেয়েকে শেখাচ্ছেন, ‘‘তোমার কাকাই এখন থেকে তোমার বাবা।’’-এবেলা
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস