এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: শচীন টেন্ডুলকার। ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার। সমর্থকরা যাকে 'দেবতা'র আসনেই দেখেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে শচীন বিদায় জানিয়েছেন ২০১৩ সালে। নানা কারণে প্রায়ই আসেন আলোচনায়। তবে এবার শচীন নয়, আলোচনায় তাঁর মেয়ে সারা টেন্ডুলকার।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্বমেদেনীপুর জেলা মহিষাদলের বাসিন্দা দেবকুমার মাইতি, মুঠোফোনে সারাকে বিয়ে করার সরাসরি প্রস্তাব শচীনকে দেন দেব কুমার। উপায় না দেখে শচীন শরণাপন্ন হন বান্দ্রা পুলিশের। অভিযোগ করেন গেলো সপ্তাহে। নিজের বাসায় নানা আজব কাণ্ড করতেন শচীনের মেয়ের প্রেমে পাগল দেব কুমার।
শচীনের সঙ্গেই সারাকে প্রথম দেখেন দেব কুমার। সরাসরি নয়, টিভিতে। সেই দেখা থেকে সারার প্রেমে পরেন অভিযুক্ত ঐ যুবক। তার পুরো ঘর জুড়েই আছে শচীন আর তার মেয়ে সারার ছবি।
সরাসরি ভালোবাসার কথা না জানাতে পারলেও নিজের ডাইরিতে লিখতেন অনুভূতির কথা। নিজের নাম লিখে যোগ চিহ্ন দিয়ে শচীনের মেয়ের নাম লিখতেন। এক চুরকুটে লিখেছেন সারা আমারই বউ। এসব কত কি!
শুধু এতেই দমে যাননি ঐ যুবক। নাটকীয় কায়দায় সংগ্রহ করেন সারার ফোন নম্বর। এরপর রীতিমত বিরক্ত করতে থাকেন তাকে। ফলে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন শচীন। ফোন নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আটক করা হয় ঐ যুবককে।
অভিযুক্ত দেবকুমার মাইতি বলেন, 'এক ভাগ্নে আছে। তাকে ফোন করে বললাম, শচীন টেন্ডুলকারের বাড়ির ঠিকানাটা বল। সে বাড়ির ঠিকানাটা বললো। তারপর তাকে বললাম, ফোন নাম্বারটা দে। তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়েই ফোন করেছি।'
সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ বার ফোন করেছেন বলেও জানান দেবনাথ। হলদিয়া আদালত তাকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড দিয়েছেন। দেবকুমারকে নেয়া হয়েছে মুম্বাইয়ে। যদিও তার স্বজনদের দাবি মাইতি দীর্ঘ দিন থেকে মানসিক ভাবে অসুস্থ।
তার এক স্বজন বলেন, 'রেকর্ডও এনেছি আমরা। দীর্ঘ আট বছর থেকে সে অসুস্থ। ও কিছুদিন ভালো থাকে আবার মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। সে যে এমন একজন লোকের বাড়িতে এমনটা করেছে সেটা আমাদের অজানা।'
মাইতি মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সে ভালো ছবি আঁকেন বলে জানান তার স্বজনরা।
৯ ডিসেম্বর ২০১৭/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর