ঢাবিতে চান্স পাওয়া রিকশাচালক সবুরের ভর্তিতে বাধা ১৩ হাজার টাকা
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: লালমনিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাযহারুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের অধীন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু রিকশাচালক আবদুস সবুরের পক্ষে ছেলের ভর্তির প্রায় ১৩ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মাযহারুলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পান মাযহারুল। এসএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান তিনি। ২০১৫ সালে লালমনিরহাট সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পান। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ৩০৬ অর্জন করেছেন। তাঁর সর্বমোট নম্বর ১৬৭ দশমিক ৬০। ভর্তির জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৩ হাজার টাকা। ভর্তির শেষ দিন ১৯ নভেম্বর।
আজ সোমবার তেলিপাড়া গ্রামের মাযহারুলের বাড়িতে গেলে জানা যায়, সম্বল বলতে তাঁদের ভিটাটুকু ছাড়া কিছু নেই। রিকশাচালক বাবা আবদুস সবুরের সামান্য আয়ে চলে ছয়জনের সংসার। মাযহারুলের ছোট ভাই মেরাজুল ইসলাম লালমনিরহাট রেলওয়ে চিলড্রেন পার্ক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মাযহারুলের ভাষ্য, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে পড়ে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট হতে চান। কিন্তু ভর্তির টাকা নেই। তাঁর বাবার পক্ষে ১৩ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
মাযহারুলের মা লাভলী বেগম বলেন, ‘মাযহারুলোক ভার্সিটিত ভর্তির জন্য বাড়ির ভিটা আর রিকশা ছাড়া বিক্রির মতো কোনো সম্পদ নাই। এগুলো বিক্রি করলে কার ভিটাত যায়া থাকিম, কেমন করি উপার্জন হইবে, চিন্তায় ঘুম আসে না। কাউকি উয়াক ভার্সিটিত ভর্তি আর পড়বার জন্য খরচ দিবার নয় বাহে?’
লালমনিরহাট সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সমাজের বিত্তবান মানুষের উচিত মাযহারুলের মতো দরিদ্র অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসা।-প্রথম আলো
১৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�