এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মাত্র ৯ ঘণ্টায় ২৪৬ কিলোমিটারের একটি গোটা রেললাইন তৈরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে চীন। চীনের এজেন্সি জানায়, দক্ষিণ চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের একটি রেলস্টেশন তৈরিতে কাজ করেন ১৫০০ কর্মী। মাত্র ৯ ঘণ্টায় পুরো কাজ শেষ করেছেন তারা।
স্বল্প সময়ের এ প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন ২৩ জন খননকারী। বাকিরা সবাই ছিলেন সাধারণ কর্মচারী। এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ৭টি ট্রেন। কর্মচারীরা কীভাবে কাজ করেছেন, তার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে ইন্টারনেটে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনটি বড় রেলপথে কাজ করছেন চীনা কর্মচারীরা। প্রথমটি গানলং রেলওয়ে, দ্বিতীয়টি গানরুইলং রেলওয়ে ও তৃতীয়টি ঝানগলং রেলওয়ে। এগুলোকে নানলে রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করছেন কর্মীরা।
তারা ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিকের সঙ্গে সম্পর্কিত যন্ত্রপাতিও লাগিয়েছেন। নানলং রেলস্টেশনের লংগিয়ান শহরে নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯ জানুয়ারি এবং শেষ হয় ২০ জানুয়ারি।
এর মাঝে কর্মীরা কাজ করেছেন মাত্র ৯ ঘণ্টা। ঝান দাওসং নামে চীনের এক রেলকর্তা বলেন, এত তাড়াতাড়ি প্রকল্পটি শেষ হওয়ার অন্যতম কারণ হল, কর্মীরা বিভিন্ন কাজ করার জন্য নিজেদের সাতটি দলে ভাগ করে নিয়েছিলেন।
২৪৬ কিলোমিটার লম্বা এ রেলপথ দক্ষিণ-পূর্ব চীন ও মধ্য চীনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এ রেললাইনের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে ট্রেন।
এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম এ উঁচু কাচের সেতু নির্মাণ করে চীন। মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের ঝাংঝিয়াজি অঞ্চলে অ্যাভাটার (ওই চলচ্চিত্রের শুটিং হয় সেখানে) নামে পরিচিত দুটি পর্বতের মধ্যে কাচের সেতুটি তৈরি করা হয়।
মাটি থেকে ৩০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত কাচের ব্রিজটি ৪৩০ মিটার দীর্ঘ ও ছয় মিটার চওড়া। বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে রেললাইনবিহীন স্মার্ট ট্রেন সার্ভিসও চালু করে চীন।
কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা ভার্চুয়াল লাইনের মধ্যমে শহরের রাস্তা দিয়ে তা চলাচল করে। পথচারী ও অন্য যানবাহনের সুবিধার্থে রাস্তায় শুধু দুটি সমান্তরাল রেখা এঁকে দেয়া হয়েছে এর গমনপথে। এ অত্যাধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নাম ’অটোনোমাস রেল র্যাপিড ট্রানজিট’ (এআরটি)। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।-ডেইলি মিরর
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস