এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আমাদের সমাজে অনেক বিবাহিতা মহিলাকেই শুনতে হয় যে হাতে চুড়ি না পরলে বা নাকে নাকফুল না পরলে স্বামীর আয়ু কমে যায় বা স্বামীর অমঙ্গল হয়। ঠিক যে বিশ্বাস নিয়ে বিধর্মী মহিলারা শাঁখা-সিঁদুর পরে, আজও অনেক মুসলমান মা বোন সেই একই ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাসী হয়ে চুড়ি-নাকফুল পরেন।
কিন্তু ফিক্বাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি অধ্যয়নে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মেয়েরা কান ও নাক ছিদ্র করে গহনা পরতে পারবে। কেননা কানে গহনা পরার রীতি নবী করীম (সা.) জীবিত থাকা অবস্থায়ও ছিল, তথাপি তিনি এটি নিষেধ করেননি।
প্রশ্নে উল্লিখিত ধারণাটি ভ্রান্ত, কুসংস্কার ও আল্লাহ তায়ালার কালামে পাকের বিপরীত। কারণ আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সে সময়ের পূর্বে বা পরে কারো মৃত্যু হবে না। তাই ঐ সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
৮ বছর পর ভিক্ষুক বেশে মাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন ছেলে!
‘গত আট বছর ধরে মাকে খুঁজে বেড়িয়েছি। কোথাও পাইনি। আট বছর আগে একটি ভিক্ষুক চক্র মাকে নিয়ে গুম করে ফেলে। অনেক চেষ্টা করেও মাকে আদর করতে পারিনি। আজ মাকে পেয়েছি, আগলে রাখব। আর কোনো দিন ঘরছাড়া হতে দিব না।’ শুক্রবার এভাবেই ফারুক নামে এক যুবক মাকে ফিরিয়ে পাওয়ার পরতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আলী নেওয়াজ নামে এক যুবক বলেন, শুক্রবার সকাল ঠিক ৯টা ৪০ মিনিট। রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। কাকরাইল মোড়ে আসতেই রাস্তায় ভিক্ষা করতে থাকা এক মহিলাকে দেখে একজন যুবক (ফারুক- ছবিতে) কাছে গিয়ে মা বলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। আশপাশ থেকে কিছু লোক গিয়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করে, উনি আপনার কে হয়? জবাবে তিনি বলেন, ইনি আমার মা। আট বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল।
আলী নেওয়াজ আরো বলেন, ছেলেটি যাত্রাবাড়ীর দিকে একটা রেস্টুরেন্টে চাকরি করে। তার ডাক নাম ফারুক। তার কাছ থেকে জানা যায়, আট বছর আগে তার মাকে ভিক্ষুক চক্র নিয়ে গুম করে, পরে পাগলের মতো করে ভিক্ষার কাজে লাগায় ওই চক্র।
ফারুক বলেন, দেশে ভিক্ষুক চক্রের নৈরাজ্য দিন দিন বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আমাদের মতো অনেক যুবকদের মা-বাবা ভাই-বোনকে ঠিক এভাবে হারাতে হবে। অতিসত্বর এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি কর্তা ব্যক্তিদের।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি