এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: কোথায় প্রথম তৈরি হয়েছিল রসগোল্লা? এর সঠিক কোন প্রমান না থাকায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে দড়িটানাটানি। রসগোল্লার তৈরির কৃতিত্ব নিজেদের ঝুলিতে পুড়েনিতে একটি নয়, গঠন করা হয়েছে তিন তিনটি কমিটি। এই কমিটিদের কাজ হল তারা খুজে বাহির করবে আসলে কোথা ছিল রসগোল্লার আদি নিবাস। আর এই পদক্ষেপটি নিল ভারতের ওড়িশা সরকার।
বেশ কয়েকদিন ধরেই রসগোল্লার জন্মস্থান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্যের চলছে বিস্তর টানাপোড়েন। পুরীর মন্দিরে ১৩ শতকে প্রথম রসগোল্লা তৈরি শুরু হয়েছিল বলে দাবি করে ওড়িশা সরকার। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দাবি, ১৮৬৮ সালে নবীনচন্দ্র দাসের হাত ধরেই মিষ্টির জগতে প্রথম আসে রসগোল্লা। কিন্তু বাংলার দাবি নস্যাৎ করে রসগোল্লা তৈরির কৃতিত্ব অর্জনে মরিয়া ওডিশা৷ এবার তারা নেমে পড়ল প্রমাণ জোগাড় করতে৷ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর ও সংস্কৃতি দফতরের সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হল তিনটি কমিটি৷ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে দায়িত্বও৷ কোন কমিটি কি কাজ করবে?
প্রথম কমিটি মূলত সন্ধান করবে রসগোল্লার উৎস স্থান। অপর কমিটির ঘাড়ে থাকবে পশ্চিমবঙ্গের দাবিকে নস্যাৎ করার সমর্থনে নথি জোগাড়ের দায়িত্ব৷ তৃতীয় কমিটি প্রমাণ জোগাড় করবে ওড়িশার দাবিকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে৷ ওডিশা সরকারের এই পরিকল্পনার কথা আজই সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করেন রাজ্যের বিজ্ঞান, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ পাণিগ্রাহী৷ এক সপ্তাহের মধ্যেই জমা পড়বে ওড়িশার রসগোল্লা গবেষণার যাবতীয় রিপোর্ট।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/