মরুভূমিতে বিস্ময়কর এক বরফ নদী!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নদী মানেই তো পনিতে কানায় কানায় ভরে থাকবে। দুপাশ ধরে বয়ে যাবে পানির শ্রোত। অথবা গরম পানির নদী, কয়লার নদী, শীতল পানির নদী থেকে শুরু করে প্রচণ্ড আশ্চর্য রকমের মাছবিহীন নদীও রয়েছে পৃথিবীতে। সেনদীগুলোর অবস্থান অবশ্য পৃথিবীর শীতপ্রধান এলাকাতেই রয়েছে। কিন্তু শোনে অবাক হবেন এমনও নদী আছে যা কিনা শুধুই বালি দিয়ে ভরপুর। তাই একে বালির নদী নামে ডাকা হয়। বালুর নদীর পাশে বসে কবিতা লেখার উদাহরণও নেহাত মন্দ নয়। আর পিকনিক, আড্ডা কিংবা ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা তো প্রায়ই হয়। কিন্তু কোনও দিন দেখেছেন কি, হঠাৎ করে চলতে শুরু করে দিয়েছে সেই বালুকণা রাশি? ভাবছেন বালুর আবার নদী হয় কিভাবে? আর সেখানে স্রোতই বা আসবে কিভাবে? কিন্তু ইদানিং এই নদীতে পানি জমে বরফে পরিনত হয়েছে। মরুভুমির বুকে এরকম অবস্থা এর আগে কেউ দেখেছে কিনা সন্দেহ আছে। আর সেই নদীটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ইরাকে।
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, মরুভূমিতে কোন জিনিসটি খুব বেশি পরিমাণে থাকে? আপনিও এক কথায় সহজ উত্তর দিবেন- বালি। সত্যি বলতে কি মরুভূমিতে বালি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেমন লাগবে আপনারা যদি দেখেন মরুভূমির তপ্ত আর ঝরঝরে বালির বুক চিরে বয়ে চলেছে খরস্রোতা এক নদী? তাও আবার যে সে নদী নয়। বরফের নদী! অবাক হলেন? মরুর বালির ভেতরে বরফ কেন, সামান্য পানিই যেখানে মরীচিকার মতো, সেখানে কিনা বয়ে চলেছে বরফের নদী? অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার। তবে এমন ঘটনাই সত্যি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে- ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডনা ও সৌদি আরবে হঠাৎ করেই আবহাওয়ার বিশাল পরিবর্তন ঘটে। উত্তপ্ত মরুভূমিতে শুরু হয় টানা তুষারপাত, ঝড় তার সাথে ভারি বর্ষণ। সেই তুষারখণ্ড আর বৃষ্টির পানিই নাকি বালির সাথে মিলেমিশে বইতে শুরু করে দেয়। এক সময় এই পানি আর তুষারখণ্ডগুলো গিয়ে আটকাতে শুরু করে ইরাকের মরুভূমির বালির ভেতর। এবং ক্রমে ক্রমে প্রকৃতির খেলায় সেগুলো জমাট বেঁধে রূপ নেয় বরফে। তৈরি করে বরফ নদীর। বর্তমানে অবশ্য এই নদীকে স্থানীয়রা বালুর নদী বা স্যান্ড রিভার বলে ডাকছে। বালির নদীর অবাক করা বহমান সেই দৃশ্য এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল।
২৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�