বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:১০:৩৬

এবার ঈগলপাখির বিশ্বরেকর্ড

এবার ঈগলপাখির বিশ্বরেকর্ড

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা : এবার বিশ্বরেকর্ড করলো ঈগলপাখি। দুবাইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ দুবাই থেকে একটি ঈগলপাখি উড়াল দিয়ে নিচে নেমেছে।আর এটা চাক্ষুস করেছে ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ।আর এতেই হয়ে গেল বিশ্বরেকর্ড। এর এক নজরে দুবাই শহরটাও দেখে নিল সবাই। দার্শান নামে সেই ঈগল, যাকে বিশ্বরেকর্ডের জন্য প্রস্তুত করেছে ফ্রান্স থেকে আসা প্রশিক্ষক। ঈগল বা যে কোনো পাখির ওড়া তো আমরা সাধারণত নিচ থেকেই দেখি। বিশ্বরেকর্ড গড়ার অভিযানে ঈগলের সঙ্গে থেকেই তার ওড়া দেখেছে, ঈগলের চোখে ২,৭০০ ফুট ওপর থেকে দুবাই শহরও দেখেছে কয়েক লাখ মানুষ। বুর্জ দুবাইয়ের একেবারে ওপরে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল দার্শান নামের ঈগলটিকে। ঈগলের ঘাড়ের ওপরে বাঁধা ছিল অত্যাধুনিক লাইভ স্ট্রিম ক্যামেরা।ফলে দার্শানের বিশ্বরেকর্ড গড়ার উড়াল এবং ২,৭০০ ফুটেরও বেশি ওপর থেকে তার দুবাই শহর দেখতে দেখতে নেমে আসার প্রতিটি মুহূর্তই উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে মানুষ। এভাবে বুর্জ খালিফা থেকে দূরের এক মাঠে দাঁড়ানো ফরাসি প্রশিক্ষকের কাছে নেমে এসে মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু কাঠামো থেকে ওড়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে দার্শান। আগের রেকর্ডটি কার ছিল? তা বলা সম্ভব নয়, কেননা, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের ওপরে আর কোনোদিন কোনো পাখি বসেছে বা বসবে কিনা সেটাই তো জানা নেই কারো। স্বাভাবিক অবস্থায় ২,৭০০ ফুটের চেয়ে অনেক ওপর দিয়ে উড়তে পারে নেড়ে মাথার এক ধরনের ঈগল। ১০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে অনায়াসে উড়ে যেতে পারে তারা। এক ধরনের শকুনতো ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ওড়ে! তবে এই দুই ধরনের পাখিই এখন বিলুপ্তির পথে। এমন বিলুপ্ত প্রায় পাখিদের রক্ষার জন্যই কাজ করে ফ্রিডম কনজারভেশন নামের একটি সংগঠন। মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু ভবন থেকে ওড়ার ব্যবস্থা করে দার্শান নামের ঈগলটিকে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগটা তারাই দিয়েছিল। এখন বিশ্বের সব দেশের মানুষই দেখছে দার্শানকে। দার্শানের চোখেই আকাশ থেকে দেখছে দুবাই শহর৷ বিশ্বরেকর্ড এবং দুবাই দেখতে গিয়ে ইউটিউবের এই ভিডিওটি গত ৮ মাসে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৪ হাজার ৩৯২ বার দেখেছে পাখি এবং ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। ২৫নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে চান বিএনপির স্থানীয় নেতারা নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে দু'শোরও বেশী পৌরসভায় নির্বাচনের জন্যে দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিগত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এই স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা এখনো জানা যায় নি, কিন্তু বিভিন্ন নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট যে দলটির স্থানীয় নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক। কমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪টি পৌরসভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার আইন দু'দফায় সংশোধনের পর এই প্রথমবারের মতো মেয়র পদে প্রার্থীরা তাদের রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলছেন, সংসদ নির্বাচনের মতোই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে কাউন্সিলর পদগুলোতে নির্দলীয়ভাবেই ভোট হবে। বিগত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। দলটির নেতারা এর আগে বলেছিলেন যে এ ব্যাপারে তারা দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন। তবে দলটি যে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তা বিভিন্ন নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব) হান্নান শাহ বলছেন, আগেকার নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা সত্বেও আমাদের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা মনে করেন যেহেতু এটা স্থানীয় নির্বাচন, তাই এ নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত। বিএনপির অভিযোগ, স্থানীয় পর্যায়ে এ নির্বাচনে যারা তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন তাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন মামলার কারণে পলাতক বা গ্রেফতার হচ্ছেন। সরকার অবশ্য বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের আটক করা হয়েছে। হান্নান শাহ বলছেন, বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলেও সবার জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে কিনা - তা নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ অবশ্য বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই। "যারা নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।" বলেন তিনি। গত বছরের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে চারটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনগুলোয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ২৫নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে