এক্সক্লুসিভ ডেস্কঃ বাঙালি কবি, লেখক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক জীবনানন্দ দাসকে জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে জাগতিক নিঃসহায়তা অনেকটাই মানসিকভাবে কাবু করেছিল এবং তাঁর জীবনস্পৃহা শূন্য করে দিয়েছিল।
মৃত্যুচিন্তা কবির মাথায় এমনইভাবে দানা বেধেছিল যে, তিনি প্রায়ই ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা ভাবতেন।
তার অনেক সময়ই মনে হতো তার মৃত্যুটা ঘটবে হয়তো কোন ট্রাম দুর্ঘটনায় এবং এ ব্যাপারে প্রায়ই সে তাঁর বন্ধুবান্ধবকেও বলতেন ।
নিয়তির নির্মম পরিহাসকে তিনিও এড়াতে পারেননি । আর তাই তো অনেকটা কাকতালীয়ভাবে ১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, এ সময় দুই হাতে দুই থোকা ডাব নিয়ে ট্রাম লাইন পার হচ্ছিলেন কবি জীবনান্দ দাস।
ট্রামের ক্যাচারে আটকে তার শরীর দলিত হয়ে গিয়েছিল। ভেঙ্গে গিয়েছিল কণ্ঠা, ঊরু এবং পাঁজরের হাড়।
গুরুতর আহত জীবনানন্দের চিৎকার শুনে ছুটে এসে নিকটস্থ চায়ের দোকানের মালিক চূণীলাল এবং অন্যান্যরা তাঁকে উদ্ধার করে। ভর্তি করা হয় শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে।
চিকিৎসক ও সেবিকাদের সকল প্রচেষ্টা বিফলে দিয়ে ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪ সালে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জীবনানন্দ দাসের এই মৃত্যু ট্রাম দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই যায় । কেননা কেউ কেউ মনে করেন এই দুর্ঘটনা আত্মহত্যারই একটি প্রচেষ্টা ।
গত একশত বছরে ট্রাম দুর্ঘটনায় কলকাতায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র একটি। তিনি আর কেউ নন, কবি জীবনানন্দ দাস।
১৮/০৯/২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এস.কে/এস.এম/মুহুর্ত