এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ১) আইনস্টাইন এর প্রতিটি সেমিনারেই পিছনে বসে লেকচার শুনতে শুনতে তার ড্রাইভার একবার তাকে বলেই বসলো, "আপনি তো সব জায়গায় একি লেকচার বারবার দেন, তারপর ও লোকজন আপনার লেকচার যে কেন শুনে?
আমি আপনার লেকচার এতোবার শুনেছি যে এখন চাইলে আমিই আপনার লেকচার দিতে পারি।"
এর পরবর্তী সেমিনারে আইনস্টাইন তার ড্রাইভারের সাথে পোশাক পরিবর্তন করে সেমিনার এর পিছনে বসে রইলেন আর তার ড্রাইভার লেকচার দিতে শুরু করলো।
অত্যন্ত নিখুত ও সাবলীল ভাবে লেকচার শেষ করার পর প্রশ্ন উত্তর পর্বে এক দর্শক এমন এক প্রশ্ন করে বসলো যার উত্তর ড্রাইভারের জানা নাই।
ড্রাইভারের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া, "আপনি খুবই সহজ একটা প্রশ্ন করেছেন, আপনার প্রশ্নটা এতোই সহজ যে আমি নিশ্চিত সেমিনারের পিছনে বসে থাকা আমার ড্রাইভারও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে"|
২) আইনস্টাইন যিনি এত সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারেন, তিনি কিন্তু অনেক সময় জীবনের সহজ ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতেন না।
একবার তিনি বাড়ি বানালেন। আইনস্টাইন একদিন বাড়িটা কেমন হল তা দেখতে গেলেন।
ঘুরে ঘুরে সব দেখে তিনি জানতে চাইলেন, তাঁর ছোট্ট বিড়ালছানাটি ঘরে ঢুকবে কি করে?
তার জন্য তো কোন আলাদা ছোট দরজা বানানো হয় নি।
আসলে যাঁরা অনেক বড় মানুষ, তাঁরা সব সময় বড় বড় চিন্তায় মগ্ন থাকেন তো, তাই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো তাঁরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও এই ছোট্ট ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতে পারলেন না।
অবশেষে তাঁকে খুশি করার জন্য বড় দরজার পাশে আরেকটি ছোট দরজা তৈরি করে দেওয়া হল, যেন তাঁর আদরের বেড়ালছানাটি নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।
অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেড়ালছানাটি কোন দরজা ব্যবহার করত তা আইনস্টাইনই ভাল বলতে পারবেন।
১৭/০৯/২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এস.কে/এস.এম