এক্সক্লুসিভ ডেস্কঃ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে রিকশা একটি বহুল ব্যবহৃত পুরনো যানবাহন। এদেশের আনাচে কানাচে রয়েছে রিকশা। রাজধানী ঢাকা বিশ্বে রিকশা রাজধানী নামেই পরিচিত ।
এই শহরে রোজ প্রায় চার লাখ রিকশা চলাচল করে। শহরটিতে রিকশা একদিকে যেমন পুরনো বাহন, তেমনি এই রিকশার কারণে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট। বাংলাদেশে রিকশার ঐতিহ্য থাকলেও বড় বড় সড়কগুলোতে তাই রিকশা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
এর উৎপত্তিক্ষেত্র জাপান । তবে দেশভেদে রিকশার গঠন ও আকারে বিভিন্ন পার্থক্য দেখা যায়।
জাপানি রিকশাগুলো অবশ্য তিন চাকার ছিল না, সেগুলো দুই চাকায় ভর করে চলতো, আর একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো করে টেনে নিয়ে যেতেন, এধরণের রিকশাকে 'হাতেটানা রিকশা'ও বলা হয়।
সাম্প্রতিককালে (২০১১ সাল) রিকশায় বৈদ্যুতিক মোটর সংযোজন তথা যন্ত্রচালিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় রিকশার প্রচলন দেখা যায়।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতের কলকাতা শহরে হাতেটানা রিকশা এখনও দেখা যায়।
২০০৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ধরনের পরিবহন ব্যবস্থাকে "অমানবিক" আখ্যা দিয়ে হাতেটানা রিকশা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব আনে।
রিকশার জনপ্রিয়তা কিংবা ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এ বাংলাদেশে উদ্বোধনীতে রিকশায় করে মাঠে আসেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দলপতিরা।
যা দেখে হয়তো বিশ্বের প্রতিটি দেশই আমাদের ঐতিহ্যবাহী রিকশার মূল্যায়ন উপলব্ধি করতে পেরেছেন ।
০২-১০-২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এসকে/এসএম