এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ইভার প্রতি হিটলারের ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত ।
আর দশটি মানুষের মতো হিটলারেরও মন ও আবেগ ছিল। হয়তো ছিল ঘর বাঁধার স্বপ্নও।
কিন্তু তার সেই সাধ অপূর্ণই থেকে গেল। ইভা ব্রাউনকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
সোভিয়েত সেনারা এসে পৌঁছানোর আগে বার্লিনে ‘ফুয়েরার বাংকারে’ তারা দু’জন একসঙ্গে আত্মহত্যা করে এ নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
পারিবারিক আপত্তি থাকায় তারা তাদের ১৭ বছরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে বিয়েতে পরিপূর্ণতা দিতে পারেননি। তবে একসময় তারা বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন যখন মৃত্যু ছিল তাদের কাছ থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরে। কোঁকড়ানো চুলের ইভা ছিলেন খুবই লাজুক।
হিটলার পরিশেষে জানতে পারলেন শত্রু বাহিনীর হাতে ঘেরাও হতে যাচ্ছেন। তবে হিটলার শত্র“দের হাতে ধরা দেবার মত লোক ছিলেন না, তার সিদ্ধান্ত আত্মহত্যা করবেন, নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেবেন, তবুও শত্রুপক্ষের হাতে ধরা দেবেন না।
অবশেষে আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে একটি বড়মাপের প্রেমও ঝরে পড়লো। ইভা ব্রাউন হিটলারকে কতটুকু ভালোবাসতেন এবং তার প্রতি ইভার ধারণা কত উঁচু ছিল তা তার উক্তি থেকেই বুঝা যায়।
ইভা মন্তব্য করতেন, যদি এমন হতো যে, ১০ হাজার লোকের জীবনের বিনিময়ে হিটলারকে রক্ষা করা সম্ভব তাহলে তাই হতো উত্তম। ভালোবাসা সত্যি অন্ধ! হিটলার তাকে সহমরণে যেতে নিষেধ করছিলেন।
কিন্তু ইভা স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। ইচ্ছে করলে তিনি বেঁচে থাকতে পারতেন। হিটলারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার জন্য একটি মূলধন। এ সম্পর্কের উপাখ্যান অবলম্বনে স্মৃতিচারণমূলক বই লিখে তিনি অঢেল অর্থোপার্জন করতে পারতেন। কিন্তু ইভা এ সংকীর্ণতার পরিচয় দেননি।
যেখানে দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ হিটলারকে ঘৃণা করেছে, শত্রু ভেবেছে সেখানে তিনি তাকে ভেবেছেন হৃদয়ের একান্ত মানুষ হিসেবে। তিনিই ছিলেন তার জীবনের শেষ ব্যক্তি।
২৫/০৯/২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এস. কে/এস.এম