এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ভারতের জাতিঙ্গা গ্রামে প্রতিবছর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আত্মহত্যা করতে আসে। জাতিঙ্গা গ্রামটি ভারতের আসাম রাজ্যের দিমা হাসাও জেলায় অবস্থিত।
পাহাড়বেষ্টিত এ গ্রামটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘বার্ড সুইসাইড জোন’। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে প্রাণী বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বা যৌক্তিক রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি।
যদিও সবাই বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু হাজার হাজার পাখির আত্মহত্যা বন্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। আত্মহত্যার জন্য প্রতি বছর বর্ষাকাল বেছে নেয় পাখিগুলো।
এই নির্মম আত্মহত্যা-যজ্ঞ দেখতে প্রতিবছর অসংখ্য কৌতূহলী মানুষকে জাতিঙ্গা গ্রামে ভিড় জমাতে দেখা যায়। তবে পক্ষী বিজ্ঞানীরা এ ঘটনাকে মোটেও দর্শনীয় বা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ভাবতে নারাজ।
তারা এই নির্মম সংকট সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আত্মহত্যার জন্য পাখিগুলো সাধারণত জাতিঙ্গা গ্রামের পাহাড়ি খাদগুলোকে বেছে নেয়। গভীর রাতে সেখানে গিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে পক্ষী বিজ্ঞানীরা এতটুকু আবিষ্কার করতে পেরেছেন যে, রাতেরবেলায় কোনো আলোময় বস্তুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাখিগুলো আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যা করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাদা সারস, সবুজ পায়রা, সোনা ঘুঘু, কাঠঠোকরা ও মাছরাঙা জাতীয় পাখি।