রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ১২:০৫:৪৯

সাদ্দাম পরিবারের ইরাক ত্যাগের অজানা অধ্যায়

সাদ্দাম পরিবারের ইরাক ত্যাগের অজানা অধ্যায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে অব্যাহত হুমকির মুখে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম পরিবারের দেশত্যাগের ঘটনাগুলো প্রকাশ করেছেন তার নাতনি হারির হোসাইন কামিল।

আল জাজিরার এক সাক্ষাৎকারে ৩২ বছর বয়সী সাদ্দাম-দৌহিত্রী রাঘাদ-কন্যা হারির জানান, তিনি একজন ইরাকি, জর্ডানের কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অধ্যয়ন করেছেন।

তিনি জানান, মার্কিন সৈন্য প্রবেশের পর আমরা অর্থাৎ প্রত্যেক মায়েদের ইরাক ত্যাগ করতে হয়। আমাদের ইরাকি পাসপোর্ট পর্যন্ত ছিল না। যার ফলে ব্যাপারটা আরও জটিল আকার ধারণ করে। তারপর আরব্য সংস্কৃতিতে যাকে বলা হয় আতিথ্য, তার মাধ্যমে জর্ডান আমাদের রক্ষা করে। 

ইরাকের পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের জন্য অ্যারাবিয়ান পাসপোর্টের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি মাসিক ভাতা, থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। যতদিন না কেউ বিয়ে করে পৃথক হয়ে গেছে কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দিয়েছে।

তিনি বলেন, যে রাতে আমরা ইরাক ত্যাগ করি সেই রাতটা ছিল অন্ধকার শীতের রাত। আমরা ইরাক ত্যাগ করি যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে, সাদ্দামকন্যা রাঘাদ ও রিনা নিজেদের সন্তানদের নিয়ে মসুলেই অবস্থান করছেন। নারী ও শিশুদের ব্যাপারে আশঙ্কা থাকায় আমরা হেঁটেই ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের মাটির দেওয়াল ধরে এগিয়ে যাই, এভাবেই আমরা ইরাক ত্যাগ করি।

হারির বলেন, অল্প কিছু দিন সিরিয়া অবস্থানকালেই আমরা জর্ডানের পক্ষ থেকে আতিথ্য লাভ করি। ইরাক ত্যাগের পর ব্রিটেনও কোনও রকম রাজনৈতিক সক্রিয়তা না রাখার শর্তে আতিথ্যের প্রস্তাব দিয়েছিল।

হারির বলেন, সাদ্দাম পরিবার, বিশেষত রাঘাদের সন্তান হওয়ায় বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিনিয়ত আমরা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। বেশির ভাগ সময় আমাদেরকে বাইরে বের হওয়া, এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে