রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৩৫:২১

আইফোনের আবিষ্কারকও ছিলেন সিরীয় শরণার্থী

আইফোনের আবিষ্কারকও ছিলেন সিরীয় শরণার্থী

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘সভ্যতার’ দোহাই দিয়ে আজ সিরীয় অভিবাসীদের ঠেকাতে মরিয়া ইউরোপের উন্নত দেশগুলো। অথচ গত দশকে যেসব মানুষ মানব সভ্যতায় উন্নয়ন স্থাপন করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই সিরীয় শরণার্থী বা তাদের সন্তান।

“গ্রাহককে জিজ্ঞাসা কোরনা তার কী চাই। তুমি যা বানিয়ে দেবে তাই আপন করে নেবে গ্রাহক।” এই কথাতেই গ্রাহকের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিলেন স্টিভ জোবস। বিশ্ব টেকনোলোজিকে হাতের মুঠোয় নাচিয়ে আজ তিনি অতীত।

স্টিভ জোবসের একটি বিশেষ পরিচয় অনেকেরই অজানা। বর্তমান বিশ্বের শরণার্থী সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে জোবসের সেই পরিচয় ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। স্টিভ জোবসও জন্ম সূত্রে সিরিয়, এবং একজন শরণার্থী। তিনি আমেরিকা না এলে হয়তো বড় ক্ষতি হত আমেরিকার।

বিল গেটস আর ওয়াল্ট ডিজনির নাম বিবেচনায় রেখেই বলা যায় বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালি, প্রতিভাবান আর সফল প্রাযুক্তিবিদ স্টিভ জোবস। তিনি একজন সিরিয় অভিবাসীর সন্তান। জোবস জন্ম সান ফ্রান্সিস্কোতে। পরে পল ও ক্লারা জোবস তাঁকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন স্টিভেন পল জোবস। কিন্তু জোবসের প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি। ১৯৫০ সালে সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেন তাঁরা।

সম্প্রতি সুইসভিত্তিক টেক উদ্যোক্তা ডেভিড গ্যালব্রেইথ টুইটারে স্টিভ জোবসের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিটির ক্যাপশন দেয়া ছিল, “এক সিরিয় অভিবাসীর সন্তান”। বৃহস্পতিবার থেকে গ্যালবেইথসের ওই টুইটটি ৮ হাজারেরও বেশিবার রিটুইট করা হয়েছে।

অনেকেই তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একটি প্রতিক্রিয়া এরকম, “এর পরেও কি বিশ্বশক্তি শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ভবিষ্যতের সম্পদ হিসাবে না দেখে বোঝা হিসাবে দেখবেন?” সূত্র: কলকাতা২৪
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে