বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:১৪:১৮

কফিনে জীবন্ত মানুষ!

কফিনে জীবন্ত মানুষ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর স্বাদ। নিজের কফিন নিজেকেই বেছে রাখা যায়। একটু শুয়ে অভ্যাসও করে নেয়া যায়। তবে সেই অভ্যাস আদৌ কাজে লাগবে কি না কে জানে। কিন্তু তা ঘিরেই ব্যবসা বাড়ছে জাপানে। সুনামি ও ভূমিকম্পে অনেক মানুষের মৃত্যুর পর মৃত্যু আলোচনা জাপানে। জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে। সে তো জানার কথাই। তাই বলে বেঁচে থাকতেই মরা প্র্যাকটিস। এ কি খেলা নাকি ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়া? মৃত্যুর আগেই নিজের কফিন বেছে রাখা যায়। জাপানে নয়া ট্রেন্ড ‘কবর-যাপন’। একদিন যে কবরে যেতেই হবে, যে কফিনে শুতেই হবে চিরকালের জন্য সেখানে কিছুটা সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা। মৃত্যুর পর কোনো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যায় কিনা কে জানে! তাই আগেই একটু শুয়ে দেখলে কেমন হয়। ‘মরণের পরে’র আমেজ পেতে ভিড় কম হয়নি টোকিও'র এক কাফেতে। সেখানে হাজির ছিলেন একজন ‘মৃত্যু বিশেষজ্ঞ’। তার জ্ঞানগর্ভ ভাষণের পরই আয়োজন হয় কফিনে শোওয়ার অভিজ্ঞতা। রীতিমতো লাইন লেগে যায়। প্রবীণা থেকে সদ্য তরুণী হাসি মুখে টান টান হয়ে শুয়ে নিলেন নিজের মাপের কফিনে। আয়োজক কাফে মালিক মাসুমি মুরাতার দাবি, মৃত্যু সম্পর্কে সচেতন হলে প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। বেঁচে থাকার কারণ উপলব্ধি করা যায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সুনামি ও ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক মানুষের মৃত্যুর পর জাপানে ‘মৃত্যু’ একটা বড় আলোচনার বিষয়। একাকিত্ব বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে মৃত্যু-চিন্তা। এসবের জন্যই এমন কফিন-প্র্যাকটিস বাড়ছে জাপানে। জাপানি ভাষায় যার নাম ‘শুকাতশু’। হুজুগ মানেই ব্যবসা। ডিসেম্বরের গোড়ায় কবর-সংক্রান্ত জিনিসপত্রের তিনদিনের এক্সপো হয়েছে। তাতে অংশ নেয় ২২০ কোম্পানি। মেলায় আসেন ২২ হাজার মানুষ। সেখানে মৃত মানুষের পোশাক বদলের কেরামতির প্রতিযোগিতাও হয়েছে। সূত্র : এবেলা ১৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে