বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রাসাদ, যা আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বড় কোন বাড়িকে সাধারণত প্রাসাদ বলা হয়। আচ্ছা ভাবুন তো বাড়িই হোক বা প্রাসাদই হোক তার সর্বোচ্চ দাম কত হতে পারে? কি মাথায় কোন কিছু আসছে না, তাই না? সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি বিলাসবহুল প্রাসাদ সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। বাড়িটি নিলামে ওঠার পর এর দাম ওঠে ৩০১ মিলিয়ন ডলার যা কিনা বাংলাদেশি টাকায় ৩০ কোটি ১০লাখ। খবর ডেইলি মেইল।
খবরে বলা হয়, ১৭ শো শতকের এই প্রাসাদটি ছিল লুইস চৌদ্দতম-এর। ২০১১ সালে এর যাবতীয় সংস্করণ সম্পন্ন হয়। তবে ভেতরে রাজকীয় আসবাব এবং নকশা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এই অপূর্ব প্রসাদটি ভার্সাটাইল এবং মার্লি-লে-রই অঞ্চলের মাঝামাঝি ৫৭ একর জায়গায় অবস্থিত। চারদিকে সবুজের সমারোহ। এর সিলিংয়ে মাইকেল্যাঞ্জেলোর ম্যুরাল দেওয়া হয়েছে। এর মাঝামাঝি পানির নিচে রয়েছে বিস্ময়কর একটি কক্ষ। ২০১৪ সালে এই স্টেটে ঘুরতে দেখা যায় কিম কার্দাশিয়ানকে।
ব্লুমবার্গ নিউজ জানায়, এই সম্পত্তির ক্রেতা হিসাবে দুইজনের কথা তুলে ধরেছে। এরা মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতা। যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এই প্রাসাদে রয়েছে একটি বিলাসী বলরুম, আন্ডারগ্রাউন্ড নাইটক্লাব, মদের বার, একটি স্কোয়াশ কোর্ট, হোম সিনেমা এবং পানির নিচে একটি কক্ষ। এর চারদিকের দেওয়াল স্বচ্ছ। মাছেদের আনাগোনা দেখা যায়। এসব মাছের সঙ্গে সাঁতার কাটার ব্যবস্থা রয়েছে।
এর মর্মরের ফ্লোরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে কিছু মাস্টারপিস ভাস্কর্য। বাগানজুড়ে করা হয়েছে মোজাইক। বাথরুমে দামি টাইলস। এটা ফ্রান্সের সম্রাট লুইসের (চোদ্দতম) প্রাসাদ যিনি টানা ৭২ বছর শাসন করেছেন। এ প্রাদাস এক দৌর্দণ্ড প্রতাপশালী সম্রাটের বলে কথা।
১৮৮৮ সালে এ প্রাসাদের মালিক ছিলেন চার্লস-এমিলি ক্লার্ক। কিন্তু এখানকার দুই একটি ভবন ভেঙে ফেলেছিলেন। তবে মূল প্রাসাদ এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০০৮ সালে এ প্রাসাদ সাজাতে দারুণ এক পরিকল্পনা করেন এমাদ খাশোগি। তিনিই একে সেই আগের আভিজাত্যে ফিরিয়ে নেন গোটা সম্পত্তিকে।
১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল