শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫৭:৪২

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ

 আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক: আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। দিবসটি উপলেক্ষ্য দিনব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। সকাল ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বের করা হবে শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হবে দিনব্যাপী অভিবাসী মেলা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার এবং অভিবাসন-প্রত্যাশীদের মুমূর্ষু অবস্থায় সাগরে ভাসতে থাকার ঘটনায় সারা বিশ্বে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জঙ্গলে বাংলাদেশিদের গণকবর পাওয়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ওই অবস্থায় সমুদ্রপথে মানবপাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেয় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসন। কঠোর অভিযানের মাধ্যমে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেপ্তার করে আনা হয়। মানবপাচারের হোতাদের ধরতে এখনো অভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সমুদ্রপথে বিদেশ যাওয়ার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। এসব কারণে সমুদ্রপথে মানবপাচার এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। এ ছাড়া ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আকাশপথেও বিদেশে কর্মী যাওয়ার পরিমাণ কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার পালিত হবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বময় অভিবাসন, সমৃদ্ধ দেশ, উৎসবের জীবন’। দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘জনশক্তি রপ্তানির হার কমছে না বরং বাড়ছে। এটা আমাদের সরকারের সাফল্য। গত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। এটা হয়েছে অবৈধপথে কিংবা সমুদ্রপথে মানবপাচার বন্ধ করা এবং বিদেশে নতুন নতুন শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর কারণে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সমুদ্রপথে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে প্রশাসনকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনও আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। এতে অবৈধপথে মানবপাচার কমে গেছে। এ ছাড়া কম টাকায় বৈধ পথে যেতে পারলে তো আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ অবৈধ পথে যেতে চাইবে না। এমনকি আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের কাজের প্রক্রিয়া অনেকটা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। হয়রানি ও উেকাচ ছাড়াই যেন কর্মীরা সেবা পায় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। বিষয়গুলো প্রতিদিনই খোঁজ নিচ্ছি।’ প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৯৬ লাখ নাগরিক অভিবাসী হিসেবে ১৬০টি দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৮ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। বছরের বাকি সময়ে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ হবে এবং এ সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং পাঁচটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির মাধ্যমে আমরা প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার দক্ষ জনশক্তি প্রতিবছর তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছি, যাদের একটি অংশ বিদেশে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে। সব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হলে আমরা প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ লাখ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সক্ষম হবো। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে একদিকে যেমন দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে, অন্যদিকে এ জনশক্তির বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/ওএফএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে