শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:১৫:৩৩

বন ঘুরে বেড়ায় যে গাছ!

বন ঘুরে বেড়ায় যে গাছ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কখনো কি শুনেছেন গাছও হাঁটে? এমন কথা শোনা না গেলেও ঘটনা কিন্তু সত্যি। সুমাকো বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভ বনে ঘুরে বেড়ায় এক ধরনের গাছ। ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এ বন। ইউনেস্কো ঘোষিত সংরক্ষিত এ বনটিকে বলা হয় ‘হার্ট অব দ্য ইউনেস্কো’। এ বনেই এক অদ্ভূত গাছের সন্ধান পেয়েছেন স্লোভাক ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস ব্রাতিস্লাভার জীবাশ্মবিদ পিটার ভ্রসাঙ্কসি। একদিন প্রায় ৩ ঘণ্টা গাড়িতে, ১৫ ঘণ্টা নৌকায় চড়ে, পায়ে হেঁটে ও খচ্চরের গাড়িতে করে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে এসব গাছের সন্ধান পান। এগুলো এক ধরনের পাম গাছ। গাছগুলো জে আর আর টলকিনের মহাকাব্য ‘লর্ড অব দ্য রিংস স্যাগা’য় বর্ণিত গাছের মতো পুরো বন হেঁটে বেড়ায়! বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন ভ্রসাঙ্কসি। শুরুতেই পান অনাবিষ্কৃত ৩০ মিটারের একটি জলপ্রপাত, নতুন একটি টিকটিকি ও ব্যাঙের প্রজাতি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। বনের পামগাছগুলোর শিঁকড় প্রতিদিন দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার বাড়ে। শিঁকড় থেকে জন্ম নেয় নতুন গাছ। এভাবেই গাছে গাছে ছেয়ে যায় পুরো বন। এ কারণেই গাছগুলোকে বলা হয় হেঁটে চলা গাছ। ভ্রসাঙ্কসি জানান, মাটি ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে গাছগুলোর শিঁকড় থেকে জন্ম নেয় নতুন নতুন শিঁকড়। নতুন শিঁকড়গুলো মাটির প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তা থেকে জন্ম নেয় নতুন গাছ। তিনি জানান, ঠিকমতো সূর্যের আলো এবং উর্বর মাটি থাকলে একটি গাছ জন্ম নিতে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। দীর্ঘ দুই মাসের বিপজ্জনক অভিযানে প্রায় ১৫০ প্রজাতির নতুন জীবের সন্ধান পান তিনি। ১৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে