মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:২৫:৩৯

কাজের সময় বিরক্তিকর চার ধরণের ব্যক্তিকে চিনে নিন

কাজের সময় বিরক্তিকর চার ধরণের ব্যক্তিকে চিনে নিন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: প্রতিটি মানুষ যে যেখানেই কাজ বা চাকরি করুক না কেন, কর্মক্ষেত্র সব সময় নিজের মনের মতো হয় না। তবুও তা করে যেতে হয়। মূলত এই সকল জায়গায় এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের কাজই হলো অন্য মানুষকে বিরক্ত করা। কর্মক্ষেত্রে এমন চার ধরণের ব্যক্তিকে এই প্রতিবেদন পড়ে এখনই চিনে নিন, যারা আপনাকেও হয়তো বিরক্ত করতে পারে। ১. ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী: এ ধরনের মানুষের কাজ প্রত্যেকের কথার মাঝে বাধা দিয়ে নিজের কথা বলা বা অযাচিত কোনো প্রশ্ন করা। এদের কারণে কর্মক্ষেত্রে বহু মানুষের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কোনো নির্দিষ্ট কাজে এ ধরনের ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের কারণে বাধার সৃষ্টি হয়। এছাড়া এমন মানুষ অন্যের বিরক্তিরও শিকার হন। এ ধরনের মানুষকে সামলাতে তাদের উপেক্ষা করতে হয়। তারা যাই বলুক না কেন, তা এড়িয়ে গিয়ে নিজের কাজ করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় তাহলে ভদ্রভাবে বিষয়টি যে আপনার জন্য বিরক্তিকর, তা জানিয়ে দিন। ২. নাক গলানো ব্যক্তি: কর্মক্ষেত্রে অনেক ব্যক্তি রয়েছে, যারা আপনার ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এ ধরনের মানুষ আপনার পরিবার, আপনার জীবনসঙ্গী, বেতন, ওজন, উচ্চতা কিংবা এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে, যা আপনি অত্যন্ত বিরক্তিবোধ করবেন। এ ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করতে পারলে সবার আগে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করুন। আপনার কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও তাকে তা জানাবেন না। তার বদলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনায় আপনি আগ্রহী নয়, এমন তথ্য জানিয়ে দিন। ৩. ম্যানেজার মনোভাব: এমন ব্যক্তি আপনার সহকর্মী ও একই পদে থাকলেও তারা উচ্চপদের ব্যক্তির মতো আচরণ করেন। এতে তারা স্বাভাবিকভাবেইকর্তব্যপরায়ণতা প্রকাশ করেন। এ ধরনের মানুষ সামলাতে অন্যদের থেকে আলাদা করে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। তার আচরণ যে আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, এ বিষয়টি জানিয়ে দিন। ৪. টিজিং ও কটাক্ষকারী: কর্মক্ষেত্রে টিজিং ও কটাক্ষকারী ব্যক্তিদের নিয়ে অনেকেই বিরক্তিবোধ করেন। স্কুল জীবনে অনেকেই এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলেও কর্মক্ষেত্রে তা যে সমস্যা করতে পারে এটা অনেকেরই ধারণার বাইরে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন মানুষ সত্যিই রয়েছে। এমন মানুষ থাকলে এবং তার কথা যদি সত্যিই উপেক্ষা করা সম্ভব না হলে তাকে শক্তভাবে প্রতিরোধ করাই ভালো। আইনগতভাবেও এমন মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এছাড়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই এসব বিষয় সামলানোর ব্যবস্থা থাকে। তবে বিষয়টি যদি ততটা সিরিয়াস না হয় বা আপনি অতদূর যেতে না চান তাহলে এসব বিষয় তাকে জানালেই কাজ হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে