বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ০৪:৫৭:৫৭

মূলত প্রত্যেক স্ত্রীর চারটি স্বামী থাকে!

মূলত প্রত্যেক স্ত্রীর চারটি স্বামী থাকে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বর্তমানে উপমহাদেশে নারী স্বাধীনতা খুব গর্ব করার মতো কিছু নেই। উপমহাদেশ কিংবা ছোট অর্থে আমাদের বাংলাদেশের সমাজ বিভিন্ন ভাবে নারীর স্বাধীনতাকে খর্ব করে থাকে। 

কিন্তু এক সময়ে এই ভারতবর্ষেই নারীর যথেষ্ট সম্মান এবং স্বতন্ত্রতা ছিল। প্রাচীন ভারতের সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে, প্রত্যেক স্ত্রীর আসলে চারটি করে স্বামী থাকে। 

যে পুরুষকে সমাজ কোনো মেয়ের স্বামী হিসেবে জানে, পৌরাণিক নিয়ম অনুসারে, সে হল তার চতুর্থ স্বামী। কিন্তু সেটা কী ভাবে সম্ভব? এক জন নারীর ৪ জন স্বামীর উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দু-বিবাহের সময়ে উচ্চারিত মন্ত্রে। 

আজকের দিনে যারা সনাতন প্রথা মেনে ধর্মমতে বিয়ে করেন, তাদের মধ্যে বিয়ের মন্ত্রের প্রকৃত অর্থ বোঝেন, এমন মানুষ দুর্লভ। ফলে তারা জানতেও পারেন না, বিয়ের সময়ে উচ্চারিত মন্ত্রে ঠিক কী বলা হচ্ছে।

বিয়ের সময়ে যে মন্ত্রোচ্চারণ করা হয়, সেই মন্ত্র অনুসারে কোনো নারীকে তার লৌকিক স্বামীর হাতে অর্পণ করার আগে তিন জন দেবতা অথবা গন্ধর্বের হাতে অর্পণ করা হয়। বিবাহের আসনে বসা

কন্যাকে প্রথমে অর্পণ করা হয় চন্দ্রের হাতে। তার পর সে অর্পিত হয় বিভাবসু নামক গন্ধর্বের হাতে। অতঃপর মেয়েটির স্বামীত্ব অর্পিত হয় অগ্নির হাতে। একেবারে শেষে বরের আসনে বসা পুরুষটিকে মেয়েটির স্বামী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

অর্থাৎ বৈদিক নিয়ম অনুযায়ী, যে পুরুষ কোনো নারীর স্বামী হিসেবে সমাজে পরিচিত হন, তিনি আসলে তার চতুর্থ স্বামী। মহাভারতে কুন্তীর মুখে নারী স্বাধীনতার এবং নারীর একাধিক স্বামী গ্রহণের কথা উচ্চারিত হয়েছিল। 

কুন্তীকে এক জায়গায় বলতে শোনা গিয়েছে, আগেকার দিনে মেয়েরা নিজের পছন্দমতো যে কোনো পুরুষকে তার সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করতে পারত। ইচ্ছে হলে একাধিক পুরুষকেও স্বামী হিসেবে নির্বাচন করতে পারত। মহাভারতে দ্রৌপদীর কাহিনিতেও এই একাধিক স্বামী গ্রহণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। 

এক পর্যায়ে কালে কালে নারীর উপর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অধিকার স্থাপিত হয়। নারী কার্যত তার স্বামীর সম্পত্তি হয়ে ওঠে। কিন্ত এখনও বিবাহের মন্ত্রে নারীর চার স্বামীর কথা উল্লেখ হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে