রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৩৬:৪৯

নিঃশর্ত ভালোবাসা; ৭৪ বছরের বৃদ্ধার সঙ্গে ২১ বছরের যুবকের সুখের সংসার!

নিঃশর্ত ভালোবাসা; ৭৪ বছরের বৃদ্ধার সঙ্গে ২১ বছরের যুবকের সুখের সংসার!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী তাদের। দুজনেই হারিয়ে যান দুজনের চোখে। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীতে এসে পরস্পরের প্রতি কোনও বি'তৃ'ষ্ণা, বি'র'ক্তিভাব নেই। বরং সুখের সংসারে তারা দিব্যি রয়েছেন। ২১ বছর বয়সী গ্যারির স্ত্রীর বয়স ৭৪ বছর। 

২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন তারা। তার পর কখন যে চার বছর কেটে গিয়েছে, টেরই পাননি। সুখে থাকলে বোধ হয় সময়ের হিসাব থাকে না। আর ভালবাসার তো কোনও বয়সই হয় না। বাঁধনহারা ভালবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন দুজনে। একে অপরের মনের মানুষ। আর কী চাই!

সমাজ কী বলল, তাদের নিয়ে কানাঘুঁষো হল না, সেসবে দুজনের কেউই পরোয়া করেন না। ওসব নিয়ে ভাবার সময়ই নেই তাদের। গ্যারির যখন ১৭ বছর বয়স তখনই ৭০ বছরের আমলিডার সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর আলাপ। তারপর সম্পর্ক। দুজনের বয়সের ফারাক ছিল সেই সময় ৫৪ বছর। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে দুজনের কেউই তেমন চিন্তিত ছিলেন না। ইনস্টাগ্রামে নিজেদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর কথা জানিয়েছেন গ্যারি ও আলমিডা। 

গ্যারি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য লেখেন, “তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত আমি জানতাম না কাউকে সত্যি এতটা গভীরভাবে ভালবাসা যায়! আমি আর তুমি প্রথম থেকেই তো উ'ত্থা'ন-প'ত'নের মধ্যে দিয়ে চলে এসেছি। একসঙ্গে সেসব কাটিয়েছি। তোমার প্রতি আমার ভালবাসা সমুদ্রের থেকেও গভীর। তোমাকে আমি নিঃশর্ত ভালবাসি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই তোমার যত্ন নিতে চাই। আমি প্রতিটা দিন ক'ঠি'ন পরিশ্রম করছি আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যগুলো পূরণ হয়। তোমার পাশেই থাকতে চাই।”

ভালবাসা এখানে নিঃশর্ত। ভালবাসার সংজ্ঞাটাই এখানে একেবারে আলাদা। সমাজের চোখরাঙানি যেখানে সম্পর্কে বাধা দিতে পারে না। গ্যারি ও আলমিডা যেন এক নতুন পৃথিবীর বাসিন্দা। যে পৃথিবীতে ধরাবাধা নিয়ম নেই। গ্যারি আর আলমিডা নিজেরাই নিয়ম বানান। নিজেদের ভাল রাখার নিয়ম তারা নিজেরাই ঠিক করে নেন। বয়স সেখানে একটা সংখ্যা। এর বেশি কিছু নয়। সূত্র: ইয়াহু নিউজ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে