কাচের সমুদ্র সৈকত!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আগের দিনে প্রতিটি পরিবার তাদের জিনিসপত্র পুনর্ব্যবহার করতো। তখন মানুষ তাদের আবর্জনা কোথায় জমা করবে, কীভাবে এগুলোর ব্যাবহার করবে এসবের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যার ফলে পরিবেশ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। বছরের পর বছর বায়ুমণ্ডলের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এসব আবর্জনার স্তূপ জমা হয়ে এত সুন্দর কিছু হতে পারে তা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করেনি। নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ফোর্ট ব্রাগের কাছাকাছি একটি সৈকতে সে শহরের মানুষ পুরনো গাড়ির আবর্জনা থেকে শুরু করে রান্নাঘরের আবর্জনাও এ সৈকতে এসে ফেলে যেতেন। ১৯৪৯ সাল থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন থেকেই সব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। ১৯৬০ সালের প্রথমদিকে পানি কোয়ালিটি বোর্ডের কর্মকর্তারা এ সৈকতের উপকূল পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত হন। সর্বপ্রথম বিষক্রিয়াজনিত আবর্জনা সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে সম্পূর্ণ আবর্জনা সরানো হয়। প্রায় অর্ধশত বছর আগে পরিষ্কার করা হলেও এখনো সে স্থান অনেক পরিষ্কার রয়েছে। সেখানে যে কাচের টুকরো ছিল তা পানির স্রোতের সাথে সমুদ্রের মাঝে চলে গেছে। সৈকতের সুন্দর আবহাওয়া ও মনোরম দৃশ্য সেখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সেই ময়লা-আবর্জনার কাচগুলো মনে হয় পলিশ হয়ে কিনারায় চলে আসছে। কাচের টুকরোগুলো দেখতে ছোট ছোট পাথরের মত। একেকটি একেক রং-এ আচ্ছাদিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সেখানে মানুষ অনেক আনন্দ উপভোগ করে। কাচের পার্কটি ম্যাককেরিচের রাজ্য পার্কের একটি অংশ। এ সৈকতের আরো একটি কাহিনী রয়েছে। এটি একটি বিশেষ ও ঐতিহাসিক অংশে অবস্থিত, তাই এর পেছনে অনেক রহস্য রয়েছে। ভারতীয় মেনদচিন সংরক্ষণের মধ্যে কাচের সৈকতটি এক নম্বর স্থানে রয়েছেন। কাচের সৈকতের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পার্ক বিভাগের লোকজন এর সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই সংরক্ষণ করছেন। সরকারি ফোর্ট ব্রাগের ওয়েবসাইটে জানান হয়, বনরক্ষক টিম জনগণকে এ বিষয়ে জানাচ্ছেন, যখনই সম্ভব হচ্ছে কাচগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে ও সামুদ্রিক কাচগুলোকে বাজেয়াপ্ত করছেন। সান ফ্রান্সিসকো থেকে তিন ঘণ্টার দূরত্বে এ সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। এটি উত্তর দিকে অবস্থিত। এটা পর্যটকদের অনেক পছন্দের যায়গা। ক্যার্লিফোনিয়ার ফোর্ট ব্রাগের কাছে সমুদ্র সৈকতে লাল নীল সবুজ কাচের টুকরোর সমাহার। সেখানে যারা বসবাস করেন, তাদের জন্যও স্থানটি অনেক আকর্ষণীয়। ২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

�