এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা গোপনেই চালিয়ে যান মহত্ কাজ। প্রচার নয়, তাঁদের উদ্দেশ্য শুধুই আত্মতৃপ্তি। এমনই এক ব্যক্তি ভেঙ্কটরমন। যিনি বছরের পর বছর শুধুমাত্র গরিব মানুষদের ১ টাকায় পেটভরে খাওয়াচ্ছেন। প্রচুর আর্থিক ক্ষতিও তাঁকে টলাতে পারেনি। আসলে ভেঙ্কটরমনের বক্তব্য, মানুষের মুখের তৃপ্তির হাসির দাম অমূল্য। তার জন্য আর্থিক ক্ষতি বহন করতে কোনও অসুবিধে হয় না।
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৭ বছর। ২০০৭-এর একটি ঘটনা। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ভেঙ্কটরমনের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের ক্যান্টিন চালাচ্ছেন ভেঙ্কটরমন। নাম এএমভি হোমলি মেস। হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের খাওয়াদাওয়া করার একমাত্র ক্যান্টিন। ভেঙ্কটরমন জানাচ্ছেন, ২০০৭-এ এক বৃদ্ধা তাঁর রেস্তোরাঁয় আসেন ইডলি (ভারতীয় খাবারের নাম) কিনতে। কিন্তু ইডলি শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভেঙ্কটরমন বৃদ্ধাকে জানান, আপনি ১০ টাকায় তিনটি ডোসা (ভারতীয় খাবারের নাম) নিতে পারেন। বৃদ্ধার কাছে টাকা ছিল না ডোসা খাওয়ার। ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন ভেঙ্কটরমন তাঁকে ৬টি ডোসাই দেন ১০ টাকার বিনিময়ে। বৃদ্ধা তাঁকে আশীর্বাদ করেন।
সেই দিন থেকেই ভেঙ্কটরমন ঠিক করেন, হাসপাতালে আসা সব গরিব রোগীদের তিনি পেট ভরে খাওয়াবেন ১ টাকার বিনিময়ে। প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জনকে ১ টাকায় খাবার খাওয়ান তিনি। ভেঙ্কটরমনের কথায়, 'প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও তিনি এই স্কিম চালিয়ে যাবেন। কারণ সরকারি হাসপাতালে বহু গরিব রোগী ভর্তি হন, যাঁদের আত্মীয়দের বেশি দাম দিয়ে খাওয়ার পয়সা নেই। তবে বাইরের লোকেদের জন্য মিল প্রতি ৫০ টাকা।'
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে