এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : তরুণীর ঘর-সংসার হল ট্রেনের কামরা। বাড়ির ঠিকানা জার্মানির এক ট্রেন। ট্রেনের কামরার ভিতরই দিন-রাত কাটান লিওনি মুলার। ট্রেনের টয়লেটেই স্নান সেরে নেন, সিটে বসেই খাওয়া দাওয়া-ঘুম-পড়াশোনা সব চলে লিওনির। এই ট্রেনেই সে করছে পিএইচডি-র পড়াশোনা।
একবার বাড়ির মালিকের সঙ্গে ঘর ভাড়া নিয়ে ঝামেলা বেধেছিল লিওনির, ঘরের মালিক তাকে উঠে যেতে বলেছিল। এদিক, তখন হাতে টাকাও নেই, কিন্তু পড়াও চালিয়ে যেতে হবে তাকে। এমনই অবস্থায় সে ঘর হিসেবে বেছে নেয় ট্রেনের কামরাকে। একটা ছোট্ট ব্যাগে কিছু জামা কাপড়, ট্যাবলট, চার্জার নিয়ে সে শুরু করে ট্রেনে সংসার। যে ট্রেনে সে থাকে, তারা ভাড়া জার্মানির বড় বড় শহরে মাঝারি মাপের এসি ঘরের থেকে অনেকটাই সস্তা।
ট্রেন ছুটতে থাকে জীবন চলতে থাকে লিওনির। ট্রেনের কামরাতেই জীবনের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ, গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নেয় সে। স্টেশনে এসে গেলে একে একে সবাই নেমে যায়, আবার ট্রেন ছাড়ার সময় হলে হুড়হুড়ি করে ওঠা শুরু হয়। ট্রেনে থেকে যায় শুধু ও।
লিওনিকে প্রশ্ন করা হয়, এইভাবে থাকতে অসুবিধা হয় না? উত্তর তরুণী বলছেন, 'অসুবিধা কিসের! আমার তো মনে হয় চলন্ত ট্রেন হল বাস করার পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী জায়গা। ট্রেনের জানলা দিয়ে চলন্ত সুন্দরী প্রকৃতি দেখা, প্রতিদিন নতুন নতুন লোকের সঙ্গে পরিচয় হওয়া, অজানা কোনও মানুষ হঠাত্ করে নিজের হয়ে যাওয়া এসবই ট্রেনে থাকার উপরি পাওনা।'
স্টেশন এলে মাঝেমাঝে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করে ফের ট্রেনে উঠে পড়েন। উঠতে তো হবেই চলাই যে সবচেয়ে বড় সত্যিই লিওনির জীবনে। সূত্র : জিনিউজ, ইন্ডিয়া
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে