এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মরনব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মূলত খাবার, জীবনযাপনের ধারা, পারিবারিক ইতিহাস, পরিবেশ এবং পেশাগত কারণেও হতে পারে এ ভয়ংকর রোগ। বিশ্বের বড় বড় সব গবেষকরা এ রোগটির নিরাময় পদ্ধতি নিয়ে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা। উঠে আসছে ক্যান্সার চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও।
এবার ক্যানসার চিকিৎসায় আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার খবর শোনালেন গবেষকরা। তারা জানালেন, ক্যান্সারের কোষকে আট দশটা স্বাভাবিক কোষের মত সাধারণ কোষে রূপান্তরের পদ্ধতি আবিস্কার করে ফেলেছেন। যার ফলে ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে কার্যকরি পদ্ধতি বের করা আরো সহজ হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম কর্তৃক প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি মার্কিন খ্যাতনামা মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকরা ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তর করার যাবতীয় কৌশল আবিস্কার করে ফেলেছেন। এটি আবিস্কার করতে তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত স্তন এবং মুত্রথলির ক্যান্সার কোষের উপর গবেষণা চালান এবং কোষের রূপান্তর ঘটাতে তারা কোষকলা পর্যায়ে তুলামূলক বিচার বিশ্লেষণ করতে থাকেন। তখনই গবেষকরা দেখেন যে, ক্যান্সার কোষ ক্রমেই স্বাভাবিক কোষের মতই আচরণ করার চেষ্টা করছে। এ রকম কয়েকবার প্রচেষ্টার ফলে ক্যান্সার কোষ শরীরের স্বাভাবিক কোষের মত হয়ে গেছে।
ন্যাচার সেল বায়োলজি’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়, মাইক্রো আরএনএএসের মত এক ধরনের পদার্থ দেহ কোষের বিভাজন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ কোষকে Rlakaea-7 নামের আমিষ উৎপাদনের নির্দেশ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় আমিষটি উৎপাদিত হলেই বন্ধ হয়ে যায় কোষ বিভাজন।
তাই ক্যান্সার কোষে সঠিক মাত্রায় আমিষ দেখা যায় না। আমিষহীন সেই ক্যান্সার কোষে মাইক্রো আরএনএএস প্রবেশ করিয়ে দিলেই সঠিক মাত্রায় উৎপাদিত হতে থাকে আমিষ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজন। এভাবেই গবেষকরা ক্যান্সারের কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তর করতে সক্ষম হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ক্যান্সার নিরাময়ের সহজ পদ্ধতি বের করতে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চালানো হচ্ছে। অনেকে অনেক পদ্ধতিও আবিস্কার করে দেখায়েছেন। কিন্তু বিগত সব আবিস্কারের চেয়ে বর্তমানের এই আবিস্কারটিই ক্যান্সার নিরাময়ে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে ভূমিকা রাখবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে