শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০১:২৪:৫৮

বাবার মৃত্যুর ৩ বছর পর তার মৃত্যুদিনেই জন্মাল ছেলে!

বাবার মৃত্যুর ৩ বছর পর তার মৃত্যুদিনেই জন্মাল ছেলে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বাবার মৃত্যুর তিন বছর পর, তার মৃত্যুদিনেই স্ত্রীর কোল আলো করে এল এক ছেলে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের জসলোক হাসপাতালে। সুপ্রিয়া জৈন নামে ৩০ বছর বয়সের ওই তরুণী এজন্য চিকিৎসক, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জয়পুরের বাসিন্দা হলেও গৌরব এবং সুপ্রিয়া, দু’জনই কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর সন্তানের কা'মনায় চে'ষ্টা শুরু করেন তারা। কিন্তু স্বাভা'বিক পদ্ধ'তিতে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব না হওয়ায় ২০১৫ সালে সন্তান ধারণের আধুনিক প্রযুক্তি আইভিএফ'র সাহায্য নিতে শুরু করে এই দম্পতি।

চিকিৎসা চলাকালীনই কর্নাটকের হুবলির কাছে ট্রাক দু'র্ঘট'নায় মা'রা যান গৌরব। স্বামীর মৃ'ত্যুর ধা'ক্কা কা'টিয়ে ওঠার পর শ্বশুরবাড়ি এবং বাবারবাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়েই সুপ্রিয়া সিদ্ধান্ত নেন তিনি গৌরবের সন্তানের জন্ম দেবেন।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, সেই পরিক'ল্পনা অনুযায়ী এক বন্ধুর পরামর্শে মুম্বাইয়ের চিকিৎসক ফিরুজা পারিখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুপ্রিয়া। এজন্য শারী'রিক ধক'লের সঙ্গে আর্থিক খরচও বহন করতে রাজি সুপ্রিয়া জসলোক হাসপাতালের কাছে নিজের থাকার অস্থায়ী বন্দো'বস্ত করেন।

ফিরুজা বলেন, যেহেতু এ ধরনের ঘটনায় শুধু শারীরিকই নয়; মানসিক ধক'লও খুব বেশি হয় সেজন্য তারা সুপ্রিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, প্রথমে মনো'রোগ বিশেষ'জ্ঞদের পরা'মর্শ নিতে। সুপ্রিয়া সেই প্রক্রি'য়া পার হওয়ার পর শুরু হয় আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশুর জন্মের প্রক্রি'য়া।

ওই চিকিৎসক বলেন, বেশ কয়েকবার তাদের পরীক্ষা ব্য'র্থ হয়েছিল। এবার ব্য'র্থ হলে গৌরবের শু'ক্রা'ণু ন'ষ্ট হয়ে যেত। অবশেষে সা'রোগেট পদ্ধ'তিতে ফল মেলে। সুপ্রিয়ার হাতে তার সন্তানকে তুলে দিতে পেরে খুশি জসলোক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এর আগে গৌরবের মৃ'ত্যুবার্ষি'কীতে বেঙ্গালুরু ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতেন সুপ্রিয়া। এবছরও তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছিলেন। তবে দেশের বাইরে থাকায় জসলোক হাসপাতাল থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় তার সন্তান জন্মেছে।

দেরী না করে দ্রু'ত দেশে ফিরে আসেন সুপ্রিয়া। স্বামীর মৃ'ত্যুবার্ষি'কীতে তার সন্তানকে কোলে পেয়ে জানালেন, তিনি শুধু সন্তান চাননি, চেয়েছিলেন গৌরবের সন্তান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে