এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন। আগামী ২১ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী। নীল গ্রহের ওপর আছড়ে পড়তে চলেছে দৈত্যাকার উল্কাপিণ্ড।
সোশ্যাল মিডিয়া ও বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হাড়হিম করা এ খবরে উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নাসা জানিয়ে দিয়েছে, সেপ্টেম্বর তো দূরের কথা, আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সংস্থার তরফে আশ্বাস দেয়া হয়েছে, মহাবিশ্বের কোনো বড়মাপের উল্কাপিণ্ড, ধূমকেতু অথবা গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনো পূর্বাভাস নেই।
নাটকীয় এ প্রচারের হোতা পুয়ের্তো রিকো দ্বীপের স্বঘোষিত ধর্মগুরু এফ্রেইন রদরিগেজ। ব্লাড মুন বা রক্তচন্দ্র পর্ব সম্পর্কিত এক তথাকথিত দৈব ভবিষ্যদ্বাণীর ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী ধ্বংসের তত্ত্ব খাড়া করেছেন তিনি।
বিজ্ঞানের তথ্যপঞ্জীর তোয়াক্কা না করে সাধারণের হুজুগে মেতে ওঠার প্রবণতাকে হাতিয়ার করেই দুনিয়ায় এমন গুজবের ছড়াছড়ি। এবারের নাসাকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন রদরিগেজ। তার কথায়, এ বার্তায় ঈশ্বর সাবধান করে দিয়েছেন যে, এক বিশাল উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে। এখনো পর্যন্ত তার হদিস না মিললেও অচিরেই কম্পিউটার বিশারদ ও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তার উপস্থিতির প্রমাণ পাবেন।
ধর্মগুরুর সতর্কবাণীকে উড়িয়ে দিয়েছে নাসা। মহাকাশ বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের কর্তা পল শোডাস জানিয়েছেন, উল্কা বা মহাকাশে ভাসমান কোনো বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা ভিত্তিহীন। অদূর ভবিষ্যতে এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ সতর্কবার্তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। আগামী ১০০ বছর তো নয়ই এমন সম্ভাবনা আগামী কয়েকশ’ বছরের মধ্যেও নেই। মহাকাশে ছুটে চলা বস্তুর গতিবিধির উপর নজর রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে নাসা। নাসার এমন কথায় কমেছে আতঙ্ক।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এম.এস/একে