এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাংলাদেশি বা উপমহাদেশিদের অধিক আবেগপ্রবণ হিসেবে মনে করা হতো। অথচ বাস্তবতা নাকি ঠিক এর উল্টো। সম্প্রতি এমনই বার্তা মিলেছে একটি জরিপে। তাতে বলা হয়েছে, এ দেশের অধিবাসীরা সবচেয়ে কম আবেগপ্রবণ।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপের জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে ১৪৮টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই জরিপে ১ হাজার মানুষের কাছে সারা দিনে তাদের পাঁচটি ভালো ও পাঁচটি খারাপ আবেগের কথা জানতে চাওয়া হয়। জরিপে সিঙ্গাপুরের অধিবাসীরা জানান, তাঁরা সবচেয়ে কম আবেগ অনুভব করেন।
খবরে বলা হয়, তিন বছর ধরে ওই জরিপ চালানো হয়। প্রশ্নগুলো ছিল মানুষের আনন্দ, হাসি, কান্না, উদ্বেগ, দুঃখ, মানসিক চাপ ও রাগের ওপরে। দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৩৭ শতাংশ লোক অন্য যেকোনো দেশের মানুষের তুলনায় এসব আবেগ কম অনুভব করে।
জরিপ সম্পর্কে গ্যালাপের সদস্য ও গ্যালাপ সরকারি দলের পরিচালক জন ক্লিফটন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দিন দিন আবেগহীন হয়ে পড়ছে। এটি ভাবনার বিষয়। বাংলাদেশের এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের চেয়েও জনগণের আচরণের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
অন্য আরেকটি ব্যবসাসংক্রান্ত সাময়িকীতে প্রকাশিত এক লেখায় গ্যালাপের পরিচালক জন ক্লিফটন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট উৎপাদনক্ষম। কিন্তু তারা জীবনকে খুব বেশি উপভোগ করতে পারছে না।
এদিকে আবেগের দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে লাতিন আমেরিকার। বলিভিয়া এবং এল স্যালভাদর দেশ দু’টির ৫৯ শতাংশ লোকই আবেগপ্রবণ।
তবে মজার ব্যাপার হলো এই তালিকার বাইরে রয়েছে ভুটান। কারণ ভুটানের নিজেদেরই রয়েছে আবেগ পরিচালনার জরিপ। ভুটানের চতুর্থ রাজা ১৯৭২ সাল থেকে সেখানে চালু করেছেন সুখের পরিমাপক পদ্ধতি বা গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস। ভুটানের জাতীয় উৎপাদনের চেয়েও সুখের পরিমাপক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। সূত্র: সিএনএন
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এম.এস/একে