এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দাফনের পরের দিন কবরের অভ্যন্তরে কেঁদে উঠল এক কিশোরী। শুধু কেঁদেই উঠেনি রীতিমতো সাহায্য চেয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত নেইসি পিরেজ নামে হণ্ডরাসের ১৬ বছর বয়সী হুন্ডুরাসের ওই কিশোরী কংক্রিকেটর তৈরি কবরের মধ্যে মারা যায়।
কিশোরীর আর্তনাদে আত্মীয়রা কংক্রিটের তৈরি কবরটি ভাঙ্গতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু কফিনটি বের করে আনতে দেরি হওয়ায় সে মারা যায়। কফিনটি বের করে আনার পর আত্মীয়রা দেখতে পান যে, এর উপরের স্বচ্ছ কাঁচটি ভাঙ্গা। আর কিশোরীর হাতের আঙ্গুলের ডগাগুলো থেতলানো। সম্ভবত বাঁচার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেই মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে হাত দিয়েই কাঁচটি ভেঙ্গে ফেলেছিল ওই কিশোরী।
কফিন থেকে বের করে এনে ডাক্তাররা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মধ্যে প্রাণের আর কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি। ফলে পুনরায় তাকে একই কবরে সমাহিত করা হয়।
মিস পেরেজ নামে ওই কিশোরী পশ্চিম হ-রাসের লা এন্ত্রাদাতে নিজবাড়িতে অবস্থানকালে গত পরশু গভীর রাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, গুলি-বোমার বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
কিন্তু জ্ঞান হারানোর পর তার নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখে তার ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাবা-মা ভাবেন যে তাকে হয়তো জ্বীন-ভুতে পেয়েছে বা কোনো শয়তানি আত্মা তার দেহে ভর করেছে। যেই ভাবা সেই কাজ। তারা মেয়েকে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে স্থানীয় খ্রিস্টান ধর্মগুরু বা পাদ্রিকে ডেকে আনেন।
পাদ্রি এসে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন মন্ত্র প্রয়োগ ও তুক-তাক করেও কোনো কুল কিনারা করতে পারেন নি। অবেশেষে কিশোরীর দেহটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাফনের সময় কিশোরীটিকে তার বিয়ের পোশাকেই কবর দেওয়া হয়েছিল। কিশোরী স্ত্রীকে অকালে হারানোর শোকে কাতর স্বামী রুডি গঞ্জালেস দাফনের একদিন পরই পিরেজের কবর পরিদর্শনে যান। আর তখনই তিনি কবরের ভেতর থেকে স্ত্রীর আর্তনাদ শুনতে পান।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে